শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় ২০২৪ - শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতাপ্রিয় পাঠক আপনি কি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এবং ত্বকের যত্ন
সম্পর্কে জানতে চান?তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ত্বকের
যত্ন ও শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাহলে আর দেরি না করে এক্ষুনি জেনে নিন শীতের সময়
ত্বকের যত্ন সম্পর্কে।
যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনিও জানতে পারবেন শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এবং শীতের সময় ত্বকের যত্ন সম্পর্কে। তাই অযথা সময় নষ্ট না করে এখনই জেনে। তাহলে আপনিও নিজেকে এই কনকনে শীতের সময় আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা ধোরে রাখতে পারবেন।
ভূমিকা
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা শীত কালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সহ
নানান টিপস নিয়ে আলোচনা করব। বলে রাখা ভালো শীতকালে অন্যান্য মৌসুমের থেকে
ত্বকের যত্ন একটু প্রয়েজন। সঠিক পদ্ধতি না জানা থাকলে ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে
যায়। এবং শীতে ত্বকের যত্নের জন্য আপনাকে অনেক ব্যয়বহুল পণ্য সামগ্রী কিনতে
হবে না।
আপনার বাড়িতে থাকা ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় ।
শীতকালীন ত্বকের যত্নের জন্য কয়েকটি ঘরোয়া উপকরণ রয়েছে যা দিয়ে আপনি শীতে
ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। প্রিয় পাঠক শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন এবং
শীতকালে ত্বকের যত্নের সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়-শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
প্রকৃতিতে শীতের অস্তিত্ব অনুভব করা যাচ্ছে। এই সময়ে ত্বকের টানটান ভাব অনুভূত
হয় এবং মুখের উজ্জ্বলতা হারাতে আরম্ভ করে। আর এই জন্যেই শীতকাল মানেই ত্বকের
একটু বাড়তি যত্ন শীতকালে রোদের অতিবেগুনি রশি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। এ
সময় ত্বক হয়ে পড়ে বেশি স্পর্শকাতর শুষ্ক ও প্রাণহীন যার ফলে ত্বকের
উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায় এ সময় প্রয়োজন হয়।
ত্বকের বিশেষ যত্ন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া টিপস চটজলদি সমাধান
হিসেবে কাজে দেয়।আমরা গ্রীষ্মকালে হালকা জেল যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে
থাকি। কিন্তু শীতকালে এমন একটি মশ্চারাইজার বাছাই করা উচিত যাতে ভিটামিন ই ও
হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদান গুলো থাকে যা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে
সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ খাদ্য তালিক
নারকেল তেল, ক্যাস্টার তে, অলিভ অয়েল তে, ও শসা প্রকৃতিক মশ্চারাইজার হিসাবে
ব্যবহার করলে সুফলতা পাওয়া যায়। শীতকালে সাধারণত আমরা সকলেই কম পরিমাণে পানি
পান করে থাকি এতে,শরীরের পানির ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে শরীর শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে
এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে।
সঠিক পরিমাণে পানি পান করার জন্য পানি হালকা গরম করে পান করলে উপকার পাওয়া
যায়। ত্বকের সুরক্ষায় গোলাপ জল ও গ্লিসারিন এরগুরুত্ব অপরিসীম গ্লিসারিন
ব্যবহার করলে যেকোনো ত্বক সহজেই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গোলাপ জলের সাথে গ্লিসারিন
মিশিয়ে ব্যবহার করলে শরীরের কালচে ও খসখসে ভাব থেকে মুক্তি মিলে।
মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন করা অনেক কঠিন তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধুলাময়লা আটকে।
যায় ফলাফল ব্রণ ফুসকুড়ি সহ নানা সমস্যা তাছাড়া রোদে বের হলে ত্বকের অতিরিক্ত
তেলতেলে ভাত এবং মুখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এ সকল সমস্যা
থেকে মুক্তি পেতে শুধু দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই হয় না সাথে কিছু
ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে হবে।
মুখ ধোয়া
সারাদিনে অন্তত দুইবার ভালো করে গ্লিসারিন সাবান ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে
হবে যেন মুখে ধুলাবালি না জমে এতে ত্বক মসৃণ থাক।
মধু
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য যা মুখের তৈলাক্ত ভাব ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য
করে প্রাকৃতিক একটু মধু নিয়ে ত্বকে হালকা স্তরে লাগিয়ে নিতে হবে।লাগানোর ১০
থেকে ১৫মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ডিম ও লেবুর রস
লেবুতে এসিড বিদ্যামান যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে আর ডিমের সাদা অংশ
মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ডিম ও লেবু দিয়ে তৈরি প্যাক ত্বকের জন্য অনেক
উপকারি একটি ডিমের সাদা অংশ এবং একটা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করে
নিতে হবে। তার পরে মুখে লাগান কিছু ক্ষন পরে শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন।
মুলতানী মাটি
মুলতানি মাটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে মুলতানি মাটির সাথে পানি
মিশিয়ে নিন মুখে লাগিয়ে নিতে হবে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে
নিতে হবে ফলে আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব নিমিষে দূর হয়ে যাবে।
শীতের ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
শীতের সকালে প্রধান সমস্যা হচ্ছে ত্বক শুষ্ক নিজীব হয়ে যায়। তাই এসময় ত্বকের
প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি যত্ন তবে নিয়মিত যত্ন নিলে ত্বকের শুষ্ক ভাব থেকে
মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সবসময় দামি দামি ক্রিম ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠে
না,তাই আমারা আপনাদেরকে জানাবো একমাত্র ভরসা প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরোয়া
পদ্ধতিতে শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় সমূহ বিস্তারিত জানবো।
পানি পান করার নিয়ম
শীতে পানি পান করার পরিমাণ অনেক কমে যায় তাছাড়া শীতে শরীর আর্দ্রতা কমে যায়
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সঠিক পরিমাণ পানি পান করার বিকল্প নেই। শুষ্ক ত্বক
থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা নিশ্চিত করতে হবে। শীতে ঠান্ডা
পানির পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।
মশ্চারাইজারের ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে মশ্চারাইজারের জুড়ী মেলা ভার পতিকর ত্বক পরিষ্কার
রাখার পর মনে করে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে মশ্চারাইজার শুষ্ক ত্বকের
আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।।
নারিকেল তেলের ব্যবহার
নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে যা শুষ্ক ত্বকের আদ্রতা
বজায় রেখে লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে নারিকেল
তেলের হালকা লাগিয়ে নিতে হবে। ফলে সকালে মুখের শুষ্ক ভাব কেটে যাবে এবং ত্বক
অনেক কমল হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করার কার্যকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শীতে
ত্বকের অ্যলোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং
ত্বক কমল হয়।
গ্লিসারিন
গ্লিসারিনের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে মাখলে ত্বকের শুষ্কতা কমবে ফলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ত্বক কমন হবে।
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়
সৌন্দর্যের কোন পরিমাপক নেই তবুও সকলে ফর্সা ত্বকের সৌন্দর্যের পরিমাপক হিসাবে
গণ্য করে থাকে। তাইতো অনেকেই বাজার থেকে ত্বক ফর্সাকারি প্রোডাক্ট কিনে
ব্যবহার করে যা ত্বককে সাময়িক
ভাবে ফর্সা করলেও ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি সাধন করেন।
ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সারের মত রোগও হতে পারে প্রাকৃতিক
উপায়ে ত্বক স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করতে পারেন। চলুন তা বিস্তারিত জেনে
নেওয়া যাক।
হলুদ
প্রাকৃতিক ওষুধগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হলুদ। আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে হলুদের
তুলনা অবর্ননীয় হলুদ ব্যবহারে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায়। দুধ তিন টেবিল চামচ, লেবু এক টেবিল চাম, এবং এক চা চামচ কাঁচা হলুদ
বেটে নিয়ে প্যাক বানাতে হবে।
এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা
পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এই প্যাকটি লাগানোর পরে অন্তত ১২ ঘন্টা রোদে যাওয়া
যাবে না। এতে ত্বক স্থায়ীভাবে উজ্জ্বলতা দেখাবে।
টমেটো
এক দুইটি ট্মেটো নিয়ে তা ব্লেন্ড করে নিতে হবে এর মধ্যে দুই চা চামচ লেবুর রস
মিশিয়ে প্যাক বানাতে হবে। প্যাকটি ভালো করে গলায় ও মুখে লাগিয়ে নিতে হবে বিশ
মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। টমেটোতে লাইকোপেন থাকায় ত্বকের দাগ
ও মরা কোষ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে এতে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হয়।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল হচ্ছে সর্ব গুনসম্পন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকে প্রকৃতিক ভাবে
ফর্সা করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেলটা বের করে মুখে লাগিয়ে নিতে
হবে এবং শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এতে ত্বক উজ্জ্বলতা ও কমন
দেখাবে।
মধু
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হালকা করে মধু লাগিয়ে নিতে হবে। সকালে হালকা
কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে মুখ ও ত্বক স্থানীয়ভাবে
ফর্সা ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে,
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেসন
মানবদেহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ত্বক। সুস্থ, সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক সবাই
প্রত্যাশা করে। বিশেষ করে মেয়েরা ত্বক নিয়ে ভাবনায় থাকে বেশি। এর জন্য দামি
দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে অনেকে।তবে কিছু কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা আমাদের
ত্বকের যত্নে খুব উপকারী। তারমধ্যে রূপচর্চায় বেসন বহুল ব্যবহৃত চলুন বিস্তারিত
জেনে নেওয়া যাক,
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ৩ চা চামচ বেসন এর সাথে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ অথবা ২ চা
চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি
ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমানোর সাথে সাথে ত্বকের ময়লা দূর করে।
উপস্থাপনা
প্রিয় পাঠক, আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
উপায় এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট। আশা করছি এই তথ্যগুলো পড়ে আপনারা
উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার যদি এই পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে।
তাহলে আপনি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজন এর কাছে শেয়ার করবেন এবং নিচে কমেন্ট
বক্সে আপনার মতামত জানাতে পারেন। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে নিয়মিত এই
ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক
নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো