বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করার ১০টি উপায় - বাংলাদেশী অ্যাপ ও সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আয় করার উপায়?
আমেরিকান ডিবি লটারি ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিতপ্রিয় পাঠক,আপনি কি বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশী অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলচনা করা হবে। তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বাংলাদেশী অ্যাপ ও অন্যান্য কিছু অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নিন।
নিচে আপনাদের জন্য বাংলাদেশী ১০টি অ্যাপ থেকে প্রতিদিন আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকা আয়করার সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে বাংলাদেশী অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নিন।
বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয়
বর্তমানে প্রায় যুবক থেকে শুরু করে প্রায় সকল মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করা যায় এবং বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যায়। আমরা আপনাকে আজ সেই অ্যাপ সম্পর্কে জানাবো যে অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি প্রতিদিন এক হাজার টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন পুরো আর্টিকেলটি শুরু থেকে পড়ে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ সম্পর্কে জেনে নিন।
দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে আয়
দারাজ একটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট যেখানে লোকেরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে পারেন এবং অন্য লোকদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে আপনি টাকা আয় করতে পারেন নিম্নলিখিত উপায়গুলি ব্যবহার করে। বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন করুন: যদি আপনার কাছে কোন পণ্য থাকে যা আপনি বিক্রয় করতে চান, তবে দারাজ একটি সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্ম। আপনি একটি নিবন্ধন পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলি বিক্রয় করতে শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
আফিলিয়েট মার্কেটিংঃ একটা বিষয় আমরা সকলে বেশ ভালো করে জানি। আর সেই বিষয়টি হল আমরা বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ও জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর নাম হলো দারাজ। যেখানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সমাহার রয়েছে। এখন আপনি যদি একজন সেলার হয়ে তাদের প্রোডাক্ট গুলো সেল করে দিতে পারেন তাহলে এই প্রোডাক্ট সেল করার বিনিময়ে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে।
দারাজ আফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালাচ্ছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার সাইডে ব্লক, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে দারাজের পণ্য প্রচার করতে পারেন। যদি কেউ আপনার প্রচারকৃত পণ্য কিনে তবে আপনি কিছু কমিশন পাবেন যা এভাবে আপনি দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আয়
বিকাশ অ্যাপের সাথে পরিচয় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আয়
করা যায় এই কথা অনেকেই জানেনা। আজকে আমি আপনাদের জানাবো বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করতে হয়। আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থেকে থাকে তাহলে প্রথমে আপনি বিকাশ অ্যাপসটি ইন্সটল করে ফেলুন। তারপর আপনি যদি সেখানে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন। আপনি আপনার নিজস্ব বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন আর সেই উপায়গুলো হলো।
- বিকাশ রেফার করে টাকা আয়।
- বিকাশ থেকে কুইজ খেলে টাকা আয়।
- বিকাশ অ্যাপসে গেম খেলে টাকা আয়।
এবং নির্দিষ্ট লেনদেনের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় মূলত আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে উপরের এই কাজগুলো করতে হবে। তবে আপনি যদি বিকাশ অ্যাপস থেকে অধিক পরিমাণ টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রেফার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। এভাবে আপনি বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন ফুডপান্ডা অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন।
ফুডপান্ডা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয়
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফুডপান্ডা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যার মাধ্যমে আমরা নিজের ঘরে বসে অর্ডার করে পছন্দের খাবার গুলো সংগ্রহ করতে পারি। বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয়ের অন্যতম উৎস হল ফুড পান্ডা মোবাইল অ্যাপ। আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থেকে থাকে তাহলে আপনি ফুডপান্ডা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে আপনার একটি চলাচল করার মতো যানবাহন যেমন সাইকেল অথবা মোটরসাইকেল থাকা অবশ্যই জরুরী। তাহলে আপনি একজন সার্ভিস ম্যান হিসেবে ফুডপান্ডা পার্ট টাইম টাইম অথবা ফুল টাইম জব করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে; আপনি ফুডপান্ডা মোবাইল অ্যাপ ইনস্টল করুন। তারপর আপনি কোথায় কাজ করবেন সেই লোকেশন সাবমিট করুন।
আরো পড়ুনঃ মেডিকেল ফিট হওয়ার উপায়
আপনার এনআইডি কার্ডের নম্বর দিন এবং সকল সঠিক তথ্য লিখে পোস্ট করুন এবং বয়স হতে হবে ১৮+ তারপর আপনার আবেদন ফরম গ্রহণ করা হবে। আপনি কাজে যুক্ত হয়ে গেলে আপনার টাকা আয় হতে থাকবে। আশা করছি ফুডপান্ডা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় কিভাবে হয় জানতে পেরেছেন। এবার চলুন Forsage.io এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন।
Forsage.io অ্যাপ থেকে আয়
Forsage.io লিখে যদি আপনারা ইউটিউবে সার্চ করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আজকের এ সময় এই অ্যাপস থেকে কত টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। এবং এটা কতটা ট্রাস্টেড আপনার যদি ট্রাস্টেড এবং প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে Forsage.io এই অ্যাপস টি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমি কথা দিচ্ছি আপনারা যদি সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করেন তাহলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন এই Forsage.io প্লাটফর্ম থেকে। এবার চলুন Small worker এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন।
Small worker অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করুন
Small worker অ্যাপ হচ্ছে এক ধরনের ছোট একটি মার্কেটপ্লেস। এই অ্যাপসের মাধ্যমে ভিডিও কোচিং কমেন্ট এবং ওয়েবসাইট ভিসিংহ সহ বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ চলে আসে যা আপনি বিকাশে উইথড্র করতে পারেন। এই অ্যাপসে আয় করতে গেলে আপনাকে সর্বপ্রথম অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিতে হবে। এবং সাইন আপ করে কাজ শুরু করতে হবে।
কাজ শুরুর পরে অটোমেটিক আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে যা আপনি বিকাশে উইথড্র করতে পারবেন। এভাবে আপনি Small worker অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করুন খুব সহজেই। আশা করছি Small worker অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা কিভাবে আয় করবেন এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন পাঠাও অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন।
পাঠাও অ্যাপ এর মাধ্যমে আয়
আপনারা হয়তো খুব ভালো করেই জানেন যে আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি ডাইভিং সার্ভিস হল পাঠাও যার মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট স্থানে খুব দ্রুত পৌঁছাতে পারি। আর আপনি যদি একজন দক্ষ বাইকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও এ ধরনের সরকার অনুমোদিত ইনকাম পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে কাজ করতে চান। তবে যদি পাঠাও এই অ্যাপস এর সাথে কাজ করতে চান এর জন্য যা প্রয়োজন হবে তা হচ্ছেঃ
- অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকতে হবে। যার সাহায্য পাঠাও কর্তৃপক্ষ আপনার সাথে গ্রাহকদের যোগাযোগ করে দিতে পারবে।
- যেহেতু আপনি বাইক নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল করবেন সেহেতু আপনার মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
- ড্রাইভ করার জন্য আপনার কাছে যে বাইক থাকবে সে বাইক এর বৈধ কাগজপত্র আপনার নিকট থাকতে হবে।
- এগুলো ছাড়াও আপনার নিকট জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে আর আপনার নিকট যখন এসব ডকুমেন্টগুলো থাকবে তখন আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
আর তখন পাঠাও সার্ভিস প্রদান করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন এছাড়াও বলে রাখা ভালো যে আমাদের দেশে পাঠাও অ্যাপস কে সরকার কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার চলুন UBER অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন।
UBER – REQUEST A RIDE
যদি আপনি প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রো নিয়ে রাইডিং করতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি বাংলাদেশি অ্যাপস হলো উবার। আপনি চাইলে উবার অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। আর উবারের সাথে কাজ করতে হলে আপনাদের বেশ কিছু যোগ্যতা ও ডকুমেন্ট থাকতে হবে যেমন;
- ডাইভিং লাইসেন্স(Driving License)
- জাতীয় পরিচয় পত্র ( National Identity Card )
- যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ( Vehicle Registration )
- ট্যাক্স টোকেন ( Vehicle Tax Token )
- ইন্সুরেন্স ( Vehicle Insurance )
- ফিটনেস সার্টিফিকেট ( Vehicle Certificate of Fitness )
আপনার কাছে যদি উপরের যোগ্যতা ও ডকুমেন্টগুলো থাকে তাহলে আপনি সেগুলোর মাধ্যমে উভারের সাথে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। তারপর আপনি তাদের সাথে কাজ করে ড্রাইভিং সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। আর এখান থেকে আয় করা টাকা গুলো আপনি বিকাশ কিংবা ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে উত্তলন করতে পারবেন। এবার চলুন Cointiply,অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন।
Cointiply,অ্যাপের মাধ্যমে আয়
এই অ্যাপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে, গেম খেলে এবং অন্যান্য ছোট ছোট কাজ করে বিটকয়েন অথবা ডলার পাওয়া যায়। এখন আপনারা হয়তো ভাবছেন এই বিটকয়েন বা ডলার কিভাবে টাকায় রূপান্তর করবেন। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা সেখানে ডলার টাকায় রূপান্তর করে উত্তোলন করার অপশন রয়েছে। তাই আপনি যদি Cointiply,অ্যাপের মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে অ্যাপটি ইন্সটল দিয়ে ফেলুন এবং বিজ্ঞাপন দেখে ও গেম খেলে টাকা আয় করুন। আশা করি Cointipl,অ্যাপের মাধ্যমে আয় কিভাবে হয় তা জানতে পেরেছেন।এবার চলুন YOUTUBER অ্যাপের মাধ্যমে আয় কিভাবে হয় জেনে নিন।
অনলাইন গেম খেলে আয় করুন - YOUTUBER
আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে অল্প পরিশ্রমে ধার করে নিতে পারেন তবে আপনি এটি থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন। অনলাইন গেম খেলে টাকা আয় করুন। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করবেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করবেন এবং লোকেরা সেগুলি দেখবে। অনলাইন গেম খেলে অর্থ উপার্জন করুন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী আল্ট্রাসনোগ্রাফি খরচ কত?
আপনার বিজ্ঞাপনটি সেই ভিডিওতে দেখানো হবে এবং আপনি সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন। আর যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি একটু জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি এই ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইন গেম খেলে অর্থ উপার্জন করুন। কিন্তু আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার YouTube চ্যানেল ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং 4 ঘন্টা দেখার সময় পূরণ করে।
এরপর ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করে এবং অ্যাড শো করে আপনার ভালো আয় হবে। এজন্য আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে অনলাইন গেম খেলে অর্থ উপার্জন করুন। আর আপনি যদি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকা এর বেশি আয় করতে পারবেন। এবার চলুন নগদ অ্যাপের মাধ্যমে আয় কিভাবে হয় জেনে নিন।
নগদ অ্যাপস এর মাধ্যমে আয়
নগদ অ্যাপস ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করে নগদ অ্যাপস থেকেও বিভিন্ন উপায়ে আয় করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তো বর্তমান সময় আপনি এমন অনেক উপায় আছে যেগুলোর সাহায্যে টাকা আয় করতে পারবেন আর সেই ইনকাম করার উপায় গুলো হলো,
- নগদ এজেন্ট এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
- রেফার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- কুইজ বা গেম খেলেও আয় করতে পারবেন।
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট হয়ে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারছে। তো আপনিও যদি তাদের এজেন্ট এর ব্যবসা করতে পারেন। তাহলে আপনার মাসশেষে একটা ভালো পরিমান প্রফিট আসবে। এবার চলুন ADMOB অ্যাপের মাধ্যমে আয় কিভাবে হয় জেনে নিন।
ADMOB মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয়
ADMOB হল, google এর একটি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম যা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য উপলব্ধ। এটি বিজ্ঞাপন দাতাদের বিজ্ঞাপন মোবাইল অ্যাপ দেখানোর জন্য সরবরাহ করে এবং অ্যাপ ডেভলপারদের আয় করার সুযোগ দেয়। মোবাইল অ্যাপ অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য ADMOB থেকে আয় করার উপায় নিম্নলিখিত;
বিজ্ঞাপন দেখানো: আপনি আপনার মোবাইল অ্যাপে ADMOB বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন। আপনি আপনার অ্যাপে বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন স্থাপন করতে পারেন যাতে বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার অ্যাপের মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন। যখন কেউ আপনার অ্যাপে একটি বিজ্ঞাপন দেখবেন, তখন আপনি বিজ্ঞাপনদাতার প্রতিশ্রুতি ভিত্তিতে টাকা পাবেন।
বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট: আপনি আপনার অ্যাপটির সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট নির্বাচন করতে পারেন যা আপনার পাবলিক নীতিগুলি মেনে চলে এবং আপনার সার্ভিস বা উৎপাদনে আগ্রহী কাস্টমারদের প্রদর্শিত হবে। এই বিজ্ঞাপনগুলি আপনার অ্যাপে দেখানো হবে এবং ব্যবহারকারীদের ক্লিক করতে পারেন যা আপনাকে উপার্জন করতে সাহায্য করবে।এভাবে আপনি ADMOB মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এবার চলুন কিভাবে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপের মাধ্যমে আয় করবেন জেনে নিন।
টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস
আমরা এতক্ষণ জানলাম বাংলাদেশি অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করা যায় কিভাবে। তো উক্ত অ্যাপসগুলোতে যদি আপনার কাজ করতে সমস্যা হয়। তাহলে এবার আমি বেশ কিছু অ্যাপস এর নাম বলবো যেগুলোতে আপনি নিয়মিত কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
তাহলে চলুন সেই অ্যাপ সম্পর্কে জানি,
- Fiverr,
- Inbox Dollars,
- Robinhood,
- Upwork Inc,
- Uber Technologies Inc,
- U Speak We Pay,
- IBOTTA,
- Swag Bucks,
- Acorns,
- Offer Up,
- Rakuten,
উপরের তালিকা তে আপনি বেশ কিছু অ্যাপস এর নাম দেখানো হয়েছে। আপনি যদি উক্ত অ্যাপস গুলো তে কাজ করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার কোনো না কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। আর এই অ্যাপ গুলোতে কাজ করার জন্য আপনার আসলে কি কি দক্ষতা থাকতে হবে। সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যেমন;
- Fiverr: এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো কাজে দক্ষতা থাকতে হবে।
- Inbox Dollars: এটি হলো একটি সার্ভের জবের অ্যাপস। যেখানে আপনি সার্ভের কাজ করে প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।
- Uber Technologies Inc: এটি হলো রাইডিং অ্যাপস। যে অ্যাপসটি নিয়ে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর এটি হলো, আমাদের বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম app গুলোর মধ্যে একটি।
- Robinhood: আপনি যদি ট্রেডিং করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার এই অ্যাপসে কাজ করা উচিত। যেখানে আপনি ট্রেডিং এর মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।
- Swagbucks: বর্তমান সময়ে সার্ভে জব এর অ্যাপস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, Swagbucks. যেখানে আপনি সার্ভে করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
- Upwork Inc: এটিও একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ করতে পারবেন। আর সেই কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- Ibotta; এটি হলো অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অন্যতম একটি অ্যাপস। যেখানে আপনি স্বল্প কিছু কাজ করে, মাসশেষে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।
- U Speak We Pay: আপনার মোবাইল এর মধ্যে বিভিন্ন মেসেজ আসবে। আর আপনি সেই মেসেজ গুলো পড়ার মাধ্যমে উক্ত অ্যাপস থেকে আয় করতে পারবেন।
- Acorns: যদি আপনি ইনভেষ্ট করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে এটি হবে আপনার জন্য উপযুক্ত একট অ্যাপস। তবে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
- Rakuten: উক্ত অ্যাপস থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফারের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
তো উপরের উল্লেখ করা অ্যাপস গুলো থেকে আপনি আসলে কিভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করার ১০টি উপায়?
আমাদের শেষ কথা হচ্ছে আপনারা এসব অ্যাপস দিয়ে অবশ্যই আয় করতে পারবেন।তবে সেক্ষেত্রে আপনাদের একটু সতর্কের সাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই আপনারা এসব অ্যাপস দিয়ে বেশ মোটা অংকের অর্থ আয় করতে সক্ষম হবেন। আশা করি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এধরণের আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ফলো করবেন,ধন্যবাদ।
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url