মেডিকেল ফিট হওয়ার উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ খাদ্য তালিকাআসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করি মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। বিগত দিনের মতো আজকেও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আর্টিকেলটি মূলত মেডিকেল ফিট হওয়ার উপায় বিষয়ক। অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিভাবে মেডিকেল ফিট হওয়া যায়। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সেসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এ সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন। তাই চলুন আর কালক্ষেপণ না করে আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক
মেডিকেল ফিট কি
মেডিকেল ফিট হওয়া কেন জরুরি
মেডিকেল ফিট হওয়া কেন জরুরী এ প্রশ্ন হয়তো সকলের জানতে ইচ্ছে করছে । চলুন জেনে নেই মেডিকেল ফিট হাওয়া কেন জরুরী। বলা হয়ে থাকে সুস্থ দেহে সুন্দর মন। অর্থাৎ সুস্থতা যদি থাকে তাহলে মন ও সুন্দর থাকে। প্রথমত জেনে নেয়া যাক মেডিকেল ফিট সম্পর্কে। আমরা আগেও জেনেছি মেডিকেল ফিট মানে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা। অর্থাৎ একটি সুস্থ দেহের অধিকারী হওয়া। ব্যক্তি যদি শারীরিকভাবে ফিট বা সুস্থ না থাকে তাহলে সে কোন কাজে মন বসাতে পারে না। সুস্থতা যে কত বড় নেয়ামত তা একমাত্র বোঝা যায় অসুস্থ হলে।
আর ঠিক তখনই বোঝা যায় সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা। মেডিকেল ফিট বলতে সুস্থতাকে বোঝানো হয়ে থাকে। একজন সুস্থ মানুষ যেভাবে চলাফেরা করতে পারে অসুস্থ মানুষ সেভাবে পারে না। একজন সুস্থ মানুষের চলাফেরা কথাবার্তা তার কার্যকলাপের মধ্যে প্রকাশ পায় ব্যক্তিটি কতটা সুস্থ এবং ফিট। কিন্তু একজন অসুস্থ মানুষ নিজে নিজে সকল কাজ সঠিকভাবে করতে পারে না তার অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে অন্যরকম নির্ভরশীল হাওয়া নাও লাগতে পারে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কাজ করা তার জন্য কষ্টসাধ্য। এ কারণে মেডিকেল ফিট থাকা অত্যন্ত জরুরী।
অনেক সময় মানুষ জীবিকার তাগিদে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশে পাড়ি জমান। এক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট ভিসা মেডিকেল টেস্ট ইত্যাদি করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় মেডিকেল ফিট না হওয়ার কারণে বিদেশে গমন করতে পারেন না। মেডিকেল আনফিট এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া পরে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে মেডিকেল আনফিট হিসেবে ধরা হয়। যেমনঃ হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, এইচআইভি, অ্যাজমা ও এলার্জি সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে বিদেশ ভ্রমণে বাধা প্রাপ্ত হয়।
আর এ সকল রোগের কারণে ব্যক্তিতার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না এবং সেই সাথে সে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে। উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় অসুস্থতা বা মেডিকেল আনফিটের কারণে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এবং কেন মেডিকেল ফিট জরুরী। উপরের আলোচনার মধ্যে একটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে মেডিকেল ফিট অত্যন্ত জরুরি। মেডিকেল ফিটনেস যদি ঠিক না থাকে সেক্ষেত্রে বিদেশ গমনে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তাই অবশ্যই মেডিকেল ফিট থাকা বাঞ্ছনীয়। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে মেডিকেল ফিটনেস কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।
মেডিকেল আনফিট কি
উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি মেডিকেল ফিটনেস কি। প্রসঙ্গত একটি কথা চলে আসে তাহলে মেডিকেল আনফিট বলতে কী বোঝায়? চলুন এ প্রশ্নের উত্তর জেনে নেয়া যাক। মেডিকেল আনফিট বলতে বোঝায় শারীরিক অসুস্থতা বা শারীরিক অক্ষমতা। মানুষের শরীর রক্ত মাংস দিয়ে গড়া। সময়ের পরিবর্তনে বিভিন্ন রোগ বালাই আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। যার ফলে আমরা অসুস্থতায় ভুগে থাকি। এই অসুস্থতাকে ডাক্তারি ভাষায় মেডিকেল আনফিট বলা হয়। অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে যেকোনো ধরনের জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অসুস্থতাকে মেডিকেল আনফিট হিসেবে বিবেচিত করা যায়।
দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক জটিলতা বা অসুস্থতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেগুলোকে মেডিকেলে আনফিট ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যান্সার, এইচআইভি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এজমা বা হাপানি এবং এলার্জির মত বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে এসব রোগ গুলো ব্যক্তির মধ্যে থাকলে ব্যক্তিকে মেডিকেল আনফিট ঘোষণা করা হয়।
মেডিকেল ফিট হওয়ার উপায়
প্রতিটি মানুষ কোন না কোন অসুখে ভুগেন। সব সময় সুস্থ থাকেন এমন মানুষ বিরল। সকলেই অসুস্থ হয় হতে পারে সেটি স্বল্প স্থায়ী কিংবা দীর্ঘস্থায়ী। উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জেনেছি মেডিকেল আনফিট কি। এবারে আমরা জানার চেষ্টা করবো মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ এবং মেডিকেল ফিট হওয়ার উপায় কি এ সম্পর্কে। মেডিকেল আনফিট হওয়ার কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো--- শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।
আরো পড়ুনঃ আলট্রাসনোগ্রাম করতে কত টাকা লাগে
মানুষ স্বাচ্ছন্দে জীবন অতিবাহিত করতে পারে না অসুস্থতার কারণে। মেডিকেল আনফিট হওয়ার কারণ হলো দীর্ঘমেয়াদি কিছু অসুখ। যেমন -- ক্যান্সার, এইচআইভি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এজমা বা হাপানি এবং এলার্জির মত বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ।বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রদানের পূর্বে মেডিকেল টেস্ট করানো হয় এ সকল টেস্টে যদি উপরিউক্ত কোন একটি অসুখ ব্যক্তির মধ্যে পরিলক্ষিত হয় সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি মেডিকেল আনফিট হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সে ভিসা গ্রহণ থেকে সাময়িক বিরত থাকে।
আরো পড়ুনঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়
সে ক্ষেত্রে কি করনীয় এ বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করব। যদি কেউ মেডিকেল আনফিট বলে বিবেচিত হন তাহলে প্রথমে তার কারণ গুলো খুজে বের করতে হবে,তারপর তার সমস্যা গুলোর সমাধান করায় তৎপর হতে হবে। মেডিকেল ফিট হতে প্রথমেই তার সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং ২/৩ মাস পর পুণরায় মেডিকেল টেস্ট করাতে হবে। আর এভাবেই মেডিকেল ফিট হওয়া যায়।
শেষ কথাঃ মেডিকেল ফিট হওয়ার উপায়
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কাঙ্খিত বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি উল্লেখ করেছি মেডিকেল ফিট কি, মেডিকেল আনফিট কি, মেডিকেল ফিট হওয়া কেন জরুরী , মেডিকেল আনফিট হলে কি কি সমস্যা হতে পারে আলোচনা করেছি। সেই সাথে কি কি কারণে প্রবাসীরা মেডিকেল আনফিট বলে বিবেচিত হয় তা নিয়েও আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুনঃ পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ খাদ্য তালিকা
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি আলোচ্য বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আপনার মহামূল্যবান সময়টুকু দিয়ে আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের প্রত্যাশা করে আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি,ধন্যবাদ।
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url