স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল

ঈদে মিলাদুন্নবী কি?প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকের জানা নেই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আপনার ও যদি এমন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলো স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল নিয়ে আমার এই বিস্তারিত আলোচনা। তো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করা যাক স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল
আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আরো ভালো করে জানতে পারবেন কখন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। 

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা

স্ত্রীকে ভালোবাসা প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত আছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা তাদের স্ত্রী জন্য উত্তম। (তিরমিজি)অন্য এক হাদীসে এরসাদ হয়েছে, তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার এর অসিয়ত আমরা কাছ থেকে গ্রহণ করো। এ আদেশ পালনের উদ্দেশ্যে যদি কেউ তার স্ত্রীকে ভালোবাসে তখন সেই ভালোবাসা আর দুনিয়া থাকে না বরং সেই ভালোবাসা সরাসরি দিন হয়ে যায় ও এবাদত ভুক্ত কাজ হয়ে যায়।

হযরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুণ্যাত্ন স্ত্রীদের প্রতি অত্যন্ত হৃদয়তা পূর্ণ আচরণ করতেন এবং তাদের প্রত্যেককে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। যা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত করা আছে। হযরত আয়েশা (রা.) এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন, রাতের বেলা মহিলার কাহিনী শুনেছেন, এবং হাফশিদের লাঠি খেলার লাঠি খেলা দেখিয়েছেন তার পিঠের উপরে দাঁড় করিয়ে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের স্ত্রীদের অনেক ভালবাসতেন।

আমাদের পূর্ববর্তী অলি আউলিয়ারা তাদের স্ত্রী সন্তানদের ও অনেক ভালবাসতেন। এই ভালোবাসা দোষের কিছু না। বরং স্ত্রী সন্তানদের ভালোবাসলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। কিন্তু আমরা তাদের মত আমাদের স্ত্রী সন্তানদের ভালবাসতে পারিনা। এখানে বড় পার্থক্য রয়েছে। তাই আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত অনুসরণ করে আমাদের স্ত্রীকে ভালবাসতে হবে।

স্বামীর মন জয় করার আমল

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হল একটি পবিত্র সম্পর্ক। প্রত্যেক স্ত্রীর উচিত স্বামীকে কাছে পেয়ে মন ভরে প্রফুল্লতা প্রকাশ করা যাতে করে আপনার স্বামী আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়। স্বামীর চোখে যদি চোখ পড়ে যায় তাহলে আপনি মাথা নিচু করে বিনয়ের হালকা হাসি দিন আর সম্মান সূচক শব্দে কথা বলুন। প্রত্যেক স্ত্রী যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করে চলতে পারে তাহলে খুব সহজে সে তার স্বামীর মন জয় হতে পারবে। নিচে এর ধাপগুলো দেওয়া হলো --
  • প্রত্যেক স্ত্রীর উচিত স্বামীকে হাসিমুখে সালাম দেওয়া।
  • আপনার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ভালো আচরণ করা।
  • আপনার বাসস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
  • ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে জানুন।
  • তাকে বলুন স্বামী হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ।
  • তাকে এমন বিষয়ে প্রশংসা করুন যা নিয়ে তিনি নিজেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন। (যেমনঃ চেহারা বা বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি)
  • যখন আপনার স্বামী ঘরে আসবে তখন আপনি এমনভাবে ছুটে যান যেন সে মনে পড়ে আপনি তারই অপেক্ষা করতে ছিলেন।
  • তাকে সহজ কোন গৃহস্থলী কাজ দিন কাজটি শেষ করার পর তার প্রশংসা করুন।
  • ছোট ছোট বিষয় নিয়ে রাগারাগি করবেন না।
  • আপনার স্বামী যদি রেগে যায় তাহলে আপনি চুপ করে শুনুন।
  • আপনার স্বামী যেমনটি চান তেমন ব্যবহার করুন।
  • স্বামী পছন্দ করে এমন কিছু মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়ান।
এই বিষয়গুলো আপনি যদি সঠিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে অতি সহজে আপনি আপনার স্বামীর মন জয় করে নিতে পারবেন।

স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়

স্ত্রীর গণ যদি অল্প কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে তাহলে সে তার স্বামীর অধিক ভালোবাসা পেয়ে থাকেন। আপনি কিভাবে আপনার স্বামীর ভালোবাসা পাবেন সে বিষয়ে কয়েকটি ধাপ দেওয়া হলো --
  • আপনার শাশুড়ির সাথে ভালো ব্যবহার করুন, যেমনটি আপনি চান আপনার স্বামী আপনার মায়ের সাথে করুক।
  • পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়ুন এবং তাকে পড়ার উৎসাহ দিন।
  • তাকে ভাল কাজে উৎসাহিত করুন।
  • সে যদি আপনার সাথে রেগে গিয়ে চেঁচাতে থাকে, তাহলে আপনি চুপ করে থাকুন এবং তাকে চেঁচাতে দিন।
  • সে যদি একঘেয়ে কথা বলে তাহলে চুপ করে শুনুন এবং মাঝে মাঝে তাকে প্রশ্ন করুন যাতে সে মনে পড়ে আপনি তার কথা আগ্রহ দিয়ে শুনছেন।
  • মনে রাখবেন আপনার স্বামীর আবেগ, অনুভূতি আছে। 

স্বামী স্ত্রী মিল মহব্বত বৃদ্ধির দোয়া

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত বৃদ্ধির জন্য এই আমলটি করা যেতে পারে। যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ও মতামতের অসন্তুষ্টি হয় তাহলে এই আমলটির মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। আমলটি হল আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম “আল-ওয়াদুদু” ১০০১ বার আমল করে দুইজনকে যদি কোন খাদ্যের সঙ্গে খাওয়ানো যায় তাহলে তাদের মধ্যে আল্লাহর রহমতে উভয় এর মধ্যে মিল মহব্বত ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়ে যাবে। এই ছোট আমলের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত তৈরি হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই ওয়েব সাইট এ আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য নিয়ে বাংলা আর্টিকেল লিখে আসছি।


আমার এই পোষ্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষণ আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবান। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

in-article

Post Page Ad After Post Ends