বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় - বিড়াল কামড়ালে কি রোগ হয়

ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা বিড়াল সম্পর্কে আলোচনা করব বিড়াল একটি গৃহপালিত প্রাণী এই প্রাণীটি আমাদের অনেকেরই পছন্দের প্রাণী। সেই কারণে আমরা অনেকেই বাসায় পালন করি সময় গড়ানোর সঙ্গে প্রাণীগুলো আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে এই পোষা বিড়াল। যদি আমাদের আঁচড় বা কামড় দেয় তাহলে আমাদের বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়। বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয় ও বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় সেই সম্পর্কে জেনে নিব।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়
বিড়াল কামড়ালে অনেক রকমের রোগে সংক্রমণ হতে পারে। বিড়াল কামড়ালে বা আঁচড় দিলে নানা রকম আক্রান্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই সেই কারণে বিড়ালের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরী।আপনারা যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে বিড়াল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ভাইরাল রোগ যা বিড়াল বা অন্য কোন প্রাণী কামড়ালে বা আঁচড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। মানুষের মধ্যে জলাতঙ্কের বিভিন্ন সময়কাল ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত দেখা দিতে পারে এবং বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। আমাদেরকে বিড়াল বা কুকুর কামড় দিলে সাথে সাথে কোন লক্ষণ আমাদের শরীরে দেখা যায় না। কিন্তু কামড় দেওয়ার বেশ কিছুদিন পর থেকে এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে যেমন --
  • কামড়ের স্থানে তীব্রতা ব্যাথা ও চিনচিন করে।
  • জ্বর,ডুকগিলতে ব্যাথা ও খিঁচুনি হয়।
  • পানি পান করতে চায়না অথবা পানি দেখলে ভয় পায়।
  • খুব চট চটে লালা ঝরে।
  • শান্ত থাকতে থাকতে হঠাৎ রেগে যায়।
  • পরে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং পক্ষাগাত দেখা দেয়।
  • তবে, লক্ষণগুলি দেখা দিতে সাধারণত ১০ থেকে ৯০ দিনের মত সময় লাগে।
এই সময়ে, ভাইরাস সংক্রমণের স্থান (বিড়ালের লালা) থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র পর্যন্ত ভ্রমণ করে। এটি মস্তিষ্কে পৌঁছানোর পরে, লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে শুরু করে। বিড়াল বা অন্য কোন সম্ভাব্য সংক্রামিত প্রাণীর কামড়ের পরে জলাতঙ্কের সম্ভাব্য লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা না করা গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গ দেখা দিলে জলাতঙ্ক প্রায় সবসময়ই মারাত্মক হয়ে থাকে। আপনাকে যদি কোন ভাবে বিড়াল কামড়ে থাকে বা আঁচড়ের দেয় তাহলে জলাতঙ্কের সংস্পর্শে আসার সন্দেহ থাকে তবে দেরি না করে নিকট তম স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গিয়ে ডাক্তারের সঠিক পরামর্শে চিকিৎসা নিতে পারেন বা পরামর্শ নিন।

বিড়াল কামড়ালে কি রোগ হয়

বিড়াল কামড়ালে আমাদের খুব দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আসতে হবে। আর আমরা যদি চিকিৎসা না নিয়ে থাকি বা টিকা দিতে না পারি তাহলে আমাদের শরীরে বেশ কয়েকটি রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে চলুন কি সেই রোগ সম্পর্কে জেনে নিন --

সংক্রমণ --
খুব বেশি দেরি হয়ে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যার ফলে বেদনাদায়ক সেলুলাইটিস বা ফোড়া হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার ফলে সেপসিস হয়ে যায়।

টিটেনাস --
আপনার যদি টিটেনাস ভ্যাকসিন বুস্টারের জন্য দেরি হয় এবং তা দ্রুত না পান, তাহলে আপনার টিটেনাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এটি একটি খুব মারাত্মক রোগ।

জলাতঙ্ক --
জলাতঙ্ক একটি প্রাণঘাতী রোগ। এটি একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় যা আক্রান্ত প্রাণীর মুখের লালায় থাকে। বিড়াল যদি কামড় দেয়, তাহলে সেই কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। জলাতঙ্কের লক্ষণগুলি সাধারণত কামড়ের 10-12 দিন পর দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেট ব্যথা, ঘুমের সমস্যা,অস্থিরতা, ভয় এবং অসংলগ্ন কথাবার্তা। রোগটি যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে মৃত্যু হতে পারে।

গ্যালেনিয়া --
গ্যালেনিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এটি বিড়ালের মুখের লালায় থাকা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। গ্যালেনিয়া সংক্রমণের লক্ষণগুলি সাধারণত কামড়ের 2-10 দিন পর দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতস্থানে ব্যথা,লালভাব, ফোলাভাব এবং পুঁজ। গ্যালেনিয়া সংক্রমণ সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

বিড়ালের কামড়ের পর নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া উচিত --
  • ক্ষতস্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • ক্ষতস্থানে অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
  • যদি কামড়টি গভীর হয় বা রক্তপাত হয়, তাহলে হাসপাতালে যান।
  • যদি বিড়ালটি র্যাবিশে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জলাতঙ্কের টিকা নিন।

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

প্রিয় পাঠক আপনাদের সকলেরই এ বিষয়টি জানা উচিত যদি বিড়াল আপনাকে কামড়ায় সেক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনাকে টিকা দিতে হবে।  বিড়াল মূলত গৃহপালিত এক ধরনের পশুর কামড়ে জলাতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। জলাতঙ্ক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খুব দ্রুত আমাদের ডাক্তারের চিকিৎসা শরণাপন্ত্রী হতে হবে তার পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের টিকা গ্রহণ করতে হবে যেমন --
  • চামড়ায়- টিকা দেওয়া বেশি কার্যকর এবং খরচ কম।
  • মাংসপেশিতে– খরচ বেশি তবে দক্ষ চিকিৎসক প্রয়োজন।
  • যেকোনো ব্যক্তি কিংবা শিশুর ক্ষেত্রে বিড়াল যদি কামড় দেয় তবে সে ক্ষেত্রে ১ম দিন, ৩য় দিন, ৭ম দিন, ১৪ তম দিন, ২৮ তম দিনে টিকা দিতে হয়।
  • এছাড়াও গৃহপালিত অন্যান্য পশু যদি আপনাকে কামড় দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
  • তাই এ ক্ষেত্রে অবশ্যই শরীর সুস্থ রাখতে টিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তবে এ সকল প্রাণীগুলো যদি আপনারা কামড় দেওয়ার পর যদি কোন ভাবে রক্তপাত না হয় তাহলে ভ্যাকসিনের কোন প্রয়োজন হবে না। আর যদি· রক্তপাত ও ক্ষত হলে সে ক্ষেত্রে আপনারা প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি ভ্যাকসিনও গ্রহণ করতে পারেন।

প্রাথমিক চিকিৎসা --
কামড়ের সাথে সাথে সাবান এবং গরম জল দিয়ে ক্ষতটি ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টিবায়োটিক মলম প্রয়োগ করুন এবং একটি পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন।

চিকিৎসা মূল্যায়ন --
কামড়ের তীব্রতা নির্বিশেষে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা বুদ্ধিমানের কাজ। তারা ক্ষতটি মূল্যায়ন করবে, সংক্রমণের ঝুঁকি মূল্যায়ন করবে এবং পরবর্তী চিকিত্সার প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করবে।

টিটেনাস ভ্যাকসিন  --
যদি আপনার শেষ টিটেনাস ভ্যাকসিন পাঁচ বছরের বেশি হয়ে যায়, তাহলে আপনার একটি টিটেনাস বুস্টারের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি আপনার টিকা স্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চিত হন তবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন।

জলাতঙ্কের উদ্বেগ --
জলাতঙ্কের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকলে, আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পরিস্থিতিটি মূল্যায়ন করবেন এবং নির্ধারণ করবেন যে জলাতঙ্কের পিইপি প্রয়োজনীয় কিনা। জলাতঙ্কের এক্সপোজারকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত এবং PEP দেরি করা উচিত নয়।

বিড়াল কামড়ালে কি দোয়া পড়তে হয়

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বিভিন্ন সময়ে কোন কারণে· বিষাক্ত প্রাণীর কামড়, আক্রমণ ও ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে সতর্ক থাকতে হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুর মতো বিষাক্ত কীট-প্রতঙ্গ, সাপ-বিচ্ছু বিড়াল কুকুর কিংবা হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে বাঁচার দোয়াও শিখিয়েছেন। মহানবী (সা.)-এর শেখানো এই দোয়াটি যারা নিয়মতি সকাল-বিকাল আমল করবে, আল্লাহ তাআলা তাদের বিষাক্ত পোকা-মাকড় বিড়াল ও যাবতীয় হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে হেফাজত করবেন।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এই দোয়া তিনবার পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে সমস্ত প্রাণী, বিশেষ করে সাপ,বিড়াল কুকুর বিচ্ছু প্রভৃতি বিষাক্ত ও কষ্টদায়ক প্রাণীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৪)

দোয়াটি হলো (আরবি) ---

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

উচ্চারণঃ আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক।
অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি।

বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়

প্রিয় পাঠক,আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানে না প্রত্যেকটি থানাতে রয়েছে নিজস্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতাল। আর উপজেলা স্বাস্থ্যসম্পদ থেকে জানা যায় যে কয়েকটি বিষাক্ত প্রাণীতে কামড় দিলে ভ্যাকসিন নিতে হয় সেগুলো হচ্ছে, বিড়াল, কুকুর, শিয়াল, বানর, বিজি, বাদুর, সাপ ইত্যাদি।একেক প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রে একেক রকম ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে এবং কমবেশিও হয়ে থাকে। সেই রকম বিড়ালে কামড়ালে চারটি (৪টি) ভ্যাকসিন দিতে হয়।

বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়

বিড়াল মূলত একটি গৃহপালিত প্রাণী হলেও এরা কামড়ালে আপনার কঠিন রোগের সংক্রমণ হতে পারেন। আপনারা কেউ বিড়াল পালন করেন তাহলে যদি বিড়াল আপনাদেরকে কামরায় তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভ্যাকসিন দিতে হবে। কেননা বিড়াল একটি গৃহপালিত প্রাণী হলেও এর কামোর থেকে আপনার জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। অনেকেই বিড়ালের ভ্যাকসিন সম্পর্কে আমাদের কাছে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।

মূলত বাংলাদেশের বর্তমানে তিন ধরনের বিড়ালের ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে।
QUADRICAT
RABISIN
NOBIVAC Feline 1-HCPCh
আপনারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন গুলো দিতে পারবেন। এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে ভ্যাকসিনের দাম কত সে সম্পর্কে জানাবো। তবে এই সকল ভ্যাকসিনগুলোর দাম পরিবর্তনশীল।
1. NOBIVAC- 1000-1400 tk.
2. QUADRICAT- 800-1200 tk.
3. RABISIN- 300-500 tk.
এই হচ্ছে বর্তমান সময়ের বিড়ালের ভ্যাকসিনের দাম।

শেষ কথাঃ বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

পাঠকগণ বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় এবং বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় সে সম্পর্কে আমরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়েছি। আশা করছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা আজকের এই পোস্ট থেকে বিড়াল কামড়ালে কি হতে পারে সে সংক্রান্ত বিষয় জানতে পেরেছেন।

আপনাদের যদি এ বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের উত্তর প্রদান করার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ সকল পোস্টগুলো পেয়ে যাবেন। তাই অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

in-article

Post Page Ad After Post Ends