ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম - উপকারিতা - অপকারিতা
চীনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতাডাবের পানি স্বাস্থ্যকর ও শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটায়। এতে অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে উপকারী এই পানীয় সবার জন্য উপকারী নয়। কারও কারও জন্য এই ডাবের ক্ষতির কারণও হয়। ডাবের পানি পান করার আগে অবশ্যই ক্ষতির দিক জেনে নেয়া উচিৎ। যদি আপনি তাদের একজন হন, তবে ডাবের পানি এড়িয়ে চলবেন বা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ডাব খাওয়ার উপকারিতা আসলে অনেক। ডাবের পানি শরীরের দুর্বলতা দূর করে এনার্জি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ডাবের পানির উপকারিতা অপরিসীম। ত্বকের যত্নে ডাবের পানির ভূমিকা অনেক বেশি। আমার আজকের পোস্ট এর আলোচ্য বিষয় হল ডাবের পানির উপকারিতা।
ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
ডাবের পানি খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে কি খেলে শরীর ভালো থাকবে কি খাওয়া ঠিক হবে। এসব নিয়ে চিন্তা করে থাকি বেশিরভাগ মানুষ ঘুম থেকে উঠে সকালে চা বা কফি খেয়ে নেয়। আবার কেউ সকালে উঠে এক গ্লাস পানি দিয়ে দিনের শুরুটা করে তবে পুষ্টিবিদের মতে সকালবেলা শুধু পানির বদলে ডাবের পানি যদি খেতে পারেন তাহলে সেটা বেশি উপকারি হবে। তবে চলুন জানিয়ে দিয় কিভাবে আপনারা ডাব খাবেন।
- ডাব কাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি খেয়ে নিতে হবে।
- ডাবের পানিতে অন্য কোনো কিছু, যেমন চিনি, লবণ, গুড় ইত্যাদি, মেশানো যাবে না।
- আমাদের খেতে হবে কচি ডাবের পানি আর ডাবের যত বয়স হবে তার পানিতে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যেটা আপনার জন্য ক্ষতিকর।
- যেকোনো সময় ডাবের পানি খাওয়া যায় তবে খুব রোদ থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গে ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো। তবে একটু ভালো করে জিরিয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মহাজ্ঞানী গুরু বলেছেন খালি পেটে জল এবং ভরা পেটে ফল খাওয়া একান্ত কার্যকরী বা উপকার পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পানের অনেক উপকারিতা। কারণ ডাবের পানিতে থাকা লোরিক অ্যাসিড আপনার হজমে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়।
খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে ডাবের পানি খেলে আমাদের শরীরের হার্টের রোগ আর কখনো হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সারা বছর ধরে যদি নিয়ম মেনে ডাবের পানি খাওয়া যায় তাহলে একাধিক রোগ আপনাদের শরীর থেকে দূর হতে থাকে। শুধু তাই না ডাবের পানিতে উপস্থিতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ইজিং ইত্যাদি নানা ধরনের উপাদান আমাদের শরীরে গঠনের বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
উপরের এইসব উপাদান গুলো আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন তাই আমরা নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়া শুরু করতে পারি। এমনটা করলে কয়েকদিনের মধ্যে দেখবেন নানা রকম রোগ বালাই আপনার বা আমাদের শরীর থেকে দূর হয়ে যেতে থাকছে। তবে চলুন কিছু উপকারিতা জেনে আসি।
- প্রথমত বলি ডাবের পানি আমাদের দেহের পানি শূন্যতা দূর করে।
- ডাবের পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়।
- আমাদের শরীরকে বিষমুক্ত করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
- মাথা যন্ত্রণার প্রকট কমায়।
- শরীর এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- ব্লাড প্রেসার এর মত রোগ দূরে থাকে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
- এতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে।
- ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
- ডাবের পানি পানে বুকের জ্বালাপোড়া বন্ধ হয়।
- ডাবের পানি নিয়মিত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- এটিতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
- ডাবের পানি শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দিয়ে না ফলে তারুণ্য ধরে রাখে।
- ডাবের পানি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- ইউরিন ইনফেকশন দূর করে এবং কিডনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের তরল উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
- ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে এটি প্রাকৃতিক ভাবে ক্যালসিয়াম জোগান দেয় শরীরে।
- ডাবের পানি হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। হৃদরোগীরা খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডাবের পানি রাখতে পারেন।
- পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
- ডাবের পানিতে কোনও ফ্যাট নেই। ফলে ওজন বৃদ্ধির কোনও চিন্তাও নেই। যারা ওজন নিয়ে সচেতন তারা নিশ্চিন্তে এই পানি খেতে পারেন।
ডাবের পানির অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের ভালো মন্দ দুইটি দিক থাকে ডাবের পানির ও রয়েছে । এর উপকারিতা বলে শেষ করা না গেলেও এর বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। যা আমাদের মাঝে অনেকেরই অজানা ডাবের পানি কি কি অপকারিতা আছে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক
- অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে কারো কারো ডায়রিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ খুব কম থাকলে এতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে। তাই যারা ওজন কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা ডাবের পানি এড়িয়ে চলায় উত্তম হবে।
- ডাবের পানিতে প্রচুর সোডিয়াম থাকে তাই অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে। উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
- উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ডাবের পানি না খাওয়ায় ভালো। ডাবের পানিতে সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এক কাপ ডাবের পানিতে ১৫২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিতে সাহায্য কর।
- আমাদের অনেকেই আছে যাদের ডাবের পানিতে এলার্জি হতে পারে। এসব রোগীরা যদি ডাবের পানি পান করে তাহলে তাদের শরীরে এলার্জি হতে পারে। ঘন ঘন হাসি আসতে পারে তাই যাদের এলার্জি আছে তাদের ডাবের পানি না খাওয়ায় ভালো হবে।
- অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে প্রসাবের মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে প্রসবের সাথে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বের হয়ে যায়। এতে করে শরীরের ইলেকট্রোলাইট এর ভারসাম্যর ব্যাঘাত ঘটতে পারে যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা - মুখের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা
ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারি। আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা ডায়রিয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কিডনির সমস্যা সহ আরো নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডক্টর এক কথায় বলা যায় ডাবের পানি হচ্ছে প্রকৃতির তৈরি হওয়া শরবত। শারীরিক সমস্যার সমাধান ছাড়াও ডাবের পানি কিছু গুরুত্ব পূর্ণ উপকারিতা রয়েছে যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা সমাধানের ডাবের পানি জুড়ি নেই। আসন তা জেনে নেওয়া যাক ডাবের পানির কিছু অজানা উপকারিতা
- কোলাজেন তৈরি করে।
- রং স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
- আদ্রতা বজায় রাখে এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।
- ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চেহারার ও বয়সের ছাপ সহজেই দূর করে।
- আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ও অ্যামোনিয়া এসিড ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও ভিটামিন সি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে। এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে।
- ডাবের পানিতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। তাই ডাবের পানি নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে সাহায্য করে। নখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- নিয়মিত ডাবের পানি খেলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। সেই সঙ্গে চোখের ফোলা ভাব কমায়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকায় ঠোঁট ফাটা ও ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে।
- স্কিন ব়্যাশ কমাতে সাহায্য করে। গরমকালে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। জ্বালা করা, চুলকানি, ঘামাচির মতো সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ডাবের পানি ত্বকের জ্বালা পড়া-চুলকানি কমায়। ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গবেষণাতেও এই উল্লেখ প্রমান পাওয়া গিয়েছে।
- বেসনের সঙ্গে ডাবের পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। সামান্য মধু মিশিয়ে এটি ত্বকে লাগান। রোদে পোড়া ত্বকের জালা ফুরাবে এই ফেসপ্যাকটি।
- ডাবের পানিতে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ত্বককে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের টোনার হিসাবেও ব্যবহার করা যায় এই পানি।
- ত্বকের গ্লো বাড়াতেও ডাবের পানির জুড়ি নেই। কোনও পার্টিতে যাচ্ছেন, ত্বকে ন্যাচারাল গ্লো আনতে ডাবের পানির প্যাক বানিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। দুই চামচ ডাবের পানিতে আধা চা চামচ মধু মেশান। এর সঙ্গে অর্ধেক চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে নিন। এটি ভালো করে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ভেতর থেকে গ্লো বাড়বে।
- কমবেশি সবাই এখন নিয়মিত মেকআপ করছেন। প্রতিদিন মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করলে ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে ভরসা রাখুন ডাবের পানিতে। ছোট স্প্রে বোতলে ডাবের পানি ভরে নিন। এবার মুখ ও গলার ত্বকে স্প্রে করুন। তুলোর বলের সাহায্যে মুছে নিন। নিমিষেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
অনেকেরই ধারণা গর্ভবতী নারীদের ডাবের পানি পান করা ঠিক নয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের তৃতীয় মাস থেকেই উচিত ডাবের পানি পান করা। কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড। এটি পান করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটস ও তরল পদার্থের পরিমাণ তৈরি হয়। এই সময় পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। একে মা ও শিশু দুজনেই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয়। ডাবের পানি পান করলে শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকে। ফলে এটি গর্ভাবস্থায় থাকা মা ও শিশু দুজনের পক্ষেই ভালো। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানিই অনেককিছুর ঘাটতি পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। তাই চলুন জেনে নিই গর্ভবতী নারীদের ডাবের পানি পান করলে কী কী উপকার হয়
- ডাবের পানি নিয়মিত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- শর্করা আর পরিমাণ খুব কম বলে এটি ওজন বাড়বে না।
- পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতি শক্তির মাত্রা বাড়ায় ।
- কম চিনি বহন করায় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ।
- ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে বলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে।
- শরীরের পানি শূন্যতা থেকে দূর করে বা শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় সকালে উঠে খানিকটা দুর্বল লাগে তা থেকে রক্ষা পেতে ডাবের পানি খুবই উপকারী।
- ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে বলে ডাবের পানি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- এতে থাকে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার। ফলে মা ও সন্তান দুজনের স্বাস্থ্যের পক্ষেই খুব ভালো।
- ডাবের পানি ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে রক্ত বাড়ায় এছাড়াও মূত্রাশয় থেকে আসা সংক্রম রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
- পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
- বুক জ্বালার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ডাবের পানি। যেমন, বুক জ্বালা গর্ভবতী থাকাকালীন বহু নারীর ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়ে ওঠে।
- এটি প্রত্যাশিত মায়ের প্রতিরক্ষা স্তর বাড়িয়ে মা এবং শিশুকে রক্ষা করে, কারণ এটি অত্যাবশ্যক ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলিতে সমৃদ্ধ ।
- এটি একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক, তাই এটি শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ততা পদার্থ বের করে দেয় এবং প্রস্রাবের ট্র্যাক্ট পরিষ্কার করে ।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করার সতর্কতা কি কিঃ
- খুব বেশি ডাবের পানি পান করবেন না। দিনে দুই গ্লাসই যথেষ্ট।
- কচি এবং সবুজ ডাব বাছাই করুন। ডাব কাটার কিছুক্ষণের মধ্যেই পান করুন।
- গর্ভাবস্থায় বিশুদ্ধ পানিই প্রধান তবে ডাবের পানি এর বিকল্প হওয়া উচিত নয়।
- আপনার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে অথবা আগে থেকেই ডায়াবেটিস হলে ডাবের পানি কম পান করুন।
- আপনার ট্রি নাট অ্যালার্জি থাকলে ডাবের পানির পানের ক্ষেত্রেও অ্যালার্জি হতে পারে। তাই এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে।
- গর্ভকালীন সময় নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন। তবে চেষ্টা করবেন টাটকা ডাবের পানি পান করার। বাসি বা ফ্রিজে রাখা ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
কচি ডাবের পানির উপকারিতা
ডাব একটা খুবই পরিচিত ফল। তারপর যদি সেটা কচি ডাব হয়, তো কথায় নেই। ছোট বড় কিংবা লেখাপড়া জানুক বা না জানুক, ডাব যে ঔষধী গুণের ১টা উপকারি ফল তা সবাই মনে হয় জানে এবং মানে। এই ডাবকে বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, যখন ভেতরে শুধু পানি ভর্তি থাকে তখন কচি ডাব, ভেতরে শাস নরম নরম হলে তখন শাসডাব আর পানি কিছুটা শুকিয়ে শাস শক্ত হয়ে গেলে তখন বলে নারিকেল। সব রকমের সময়েই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও উপকার রয়েছে।
- কোলাজেন তৈরি করে।
- বলি রেখা কমাতে সহায়তা করে।
- রং স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
- কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে।
- ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সহায়তা করে।
- এত থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে।
- ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।
- মা ও শিশুর শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
- মা ও শিশুর দেহে মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
- ডাবের পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
- মা ও বাচ্চার হজম শক্তি সঠিক মাত্রায় রাখতে সহায়তা করে।
- আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।
- ডাবের পানিতে থাকা ফাইবার শরীরের মেটাবলিজমকে উন্নত করে।
- কচি ডাবের পানি শরীরের পানির ঘাটতি দূর করে এবং মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
- শারীরিক শক্তি যোগাতে ডাবের পানির উপকার অনস্বীকার্য, তাই যারা ব্যায়াম, জীম এবং খেলাধূলার সাথে জড়িত তাদের জন্য কচি ডাবের পানি খুব উপকারি।
- কচি ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এমাইনো এসিড এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। শরীরকে চাঙ্গা করতে দ্রুত কার্যকরিভাবে কাজ করে। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা খাওয়ার আগে ভেবে খাবেন কারণ এতে কিছু পরিমাণ চিনি বিদ্যমান।
শেষ কথাঃ
কোনো কিছু থেকে প্রাকৃতিক ভাবে উপকার পেতে হলে তা দীর্ঘদিন খেতে হয় বা ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ এক–আধদিন ব্যবহার করে ভালো উপকার পাওয়া যায় না। তাই ডাবের পানি পান করে উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত তা পান করতে হবে। খুব বেশি পানের দরকার নেই। পরিমাণ মতো নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তবেই উপকার পাবেন।
তবে ডাবের পানির উপকারিতা আছে বলে নিজেদের মতো করে সব সময় ডাবের পানি খাওয়া উচিত হবে না। প্রতিদিন ডাবের পানি খেতে চাইলেন কতটুকু খাবেন কিভাবে খাবেন এ বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া সব থেকে উত্তম কাজ হবে
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url