ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণপ্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকের জানা নেই ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আপনার ও যদি এমন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলো ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় তাই নিয়ে আমার এই বিস্তারিত আলোচনা। তো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করা যাক ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়

আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আরো ভালো করে জানতে পারবেন ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় থাকবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রসব ব্যথা কেমন হয়

সন্তান জন্ম দেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলো প্রসব ব্যথা, যেটা শুরু হয় জরায়ুর সংকোচন ও সার্ভিকাল সম্প্রসারণ থেকে আর শেষ হয় সন্তান জন্মানোর মাধ্যমে। আপনার ডেলিভারি তারিখ যত এগিয়ে আসবে আপনি ততবেশি আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। যেগুলো মূলত ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ এরপর যত সময় যেতে থাকবে আপনার সত্যিকারের প্রসব ব্যথা শুরু হবার লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকবে। শিশু জন্ম নেয়ার কয়েক দিন এমনকি কয়েক ঘণ্টা আগেও এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। 

ডেলিভারি হওয়ার সময় নিজের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটতে থাকে, যেমন জরায়ুর সংকোচন, সার্ভিকাল সম্প্রসারণ, ও শিশুর জন্ম নেওয়া। এই প্রক্রিয়াগুলি শোকরীয় হতে পারে, কিন্তু তা হলো স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয় অংশ যা সন্তানের সুস্বাস্থ্য জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ ২১ সপ্তাহে বাচ্চার নড়াচড়া কেমন হয় বিস্তারিত জানুন

ডেলিভারি হওয়ার পর, আপনি শরীরে কিছু বৈশিষ্ট্যমূলক পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হলো পুরুষ শরীরের স্তনের বৃদ্ধি এবং স্তন মাংসপেশীর সৃষ্টি, যা শিশুকে দুগ্ধ সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, ডেলিভারি হওয়ার পর আপনি মাত্রা আবার নরমাল অবস্থায় ফিরতে সহায়ক হতে পারেন না।

তবে, কিছুদিন পরে এই স্থিতি স্বাভাবিকভাবে উন্নত হতে থাকবে। এই সময়ে, সঠিক পোষণ, বিশ্রাম, এবং নিজেকে যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ডেলিভারি পর যে কোন অস্তির বা অস্বস্তির লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এটি মা ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসবের সময় কাছে আসার কিছু প্রাথমিক লক্ষণ

গর্ভাবস্থার প্রসবের লক্ষণগুলি মায়েরা খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে মনিটর করে থাকেন। সাধারণভাবে প্রসবের শুরুতে গর্ভের সন্তান নিচে নামা শুরু হয়, তবে দ্বিতীয় বা তার পরবর্তী গর্ভাবস্থায় সন্তান নিচে নামার অনুভূতি সাধারণত প্রসব শুরু হওয়ার পরে হয়। স্রাবের দলা নিঃসৃত হওয়া অন্য একটি লক্ষণ, যেটি গর্ভাবস্থায় জরায়ুমুখে জমা হওয়া থাকে। এটি প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কিছুটা সময় পর দেখা দেয়া হয়ে থাকে। যদি স্রাব একটি দলায় একবারে বের না হয়ে অল্প অল্প করে বের হয়, তাও স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে।

রক্ত মিশ্রিত স্রাব দেখা যাওয়া অপরিহার্যভাবে একটি প্রসব লক্ষণ, যা প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর হতে পারে। এমন স্রাব লক্ষ করার পর যদি রক্তক্ষরণ ভারী হয় অথবা কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাদের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে উচিত। জরায়ুমুখ পাতলা ও প্রসারিত হওয়া সক্রিয় প্রসব একটি মৌল্যবান লক্ষণ, যা প্রসব প্রক্রিয়ার পূর্বে হতে পারে। এই লক্ষণটির জন্য যদি আপনি আগেই অ্যান্টিন্যাটাল সেবা নিয়ে থাকেন, তবে চিকিৎসক সহায় করতে পারে কী ভাবে এই প্রসবের চিহ্নগুলি ঠিকঠাক ভাবে অনুমান করতে হয়।

প্রসবের শুরুতে এবং প্রসববেদনা শুরু হওয়ার আগে অনিয়মিত, মৃদু টান অনুভব করা অন্যভাবে 'ব্রেক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন' হতে পারে। এই টানগুলি প্রসবের আগে আরও ঘন ঘন হতে পারে, এবং এটি গর্ভাবস্থার শেষ দিকে বা প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেও হতে পারে। গর্ভাবস্থার শেষে মায়েরা ধরে থাকেন, পেটে অনিয়মিত এবং মৃদু টানের অনুভূতি। এই টানগুলি সচেতন হতে পারে যে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। একে 'ব্রেক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন' বলা হয় এবং এটি স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় ঘটতে থাকে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা

প্রসবের শুরুতে গর্ভের সন্তান নিচে নামা অথবা স্রাবের দলা নিঃসৃত হতে পারে, এটি গর্ভাবস্থার শুরুর লক্ষণ। সাধারণভাবে, এই লক্ষণগুলি দ্বিতীয় বা তার পরবর্তী গর্ভাবস্থায় সন্তান নিচে নামার অনুভূতি সাধারণত প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে হয়। জরায়ুমুখ পাতলা ও প্রসারিত হওয়া একটি স্বাভাবিক লক্ষণ, তবে এটি সক্রিয় প্রসব শুরু হওয়ার পূর্বেও দেখা যেতে পারে। এটি দ্বারা চিকিৎসক জেনে নেতে হবে কীভাবে এই লক্ষণটি সত্যিকারে অনুমান করা যায়।

এই সময়ে মায়েরা অত্যন্ত সাবধানে থাকতে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারেন।

বাচ্চা প্রসবের দোয়া

হযরত ফাতিমা (রা) এর প্রসব-বেদনায়, রাসূলে আকরাম (স) হযরত উম্মে সালমা (রা) এবং জয়নাব বিনতে জাহাশ (রা) কে এক বিশেষ কাজের জন্য প্রেরণ করেন। তাদেরকে আয়াতুল কুরসি এবং সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিলাওয়াত করতে বলেন এবং এরপরে তাঁদের দিশে ফুঁক দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এই বিশেষ ক্ষণে, আয়াতুল কুরসি-তে আল্লাহর মহত্বপূর্ণ গুণগুলির বর্ণনা হয়েছে, এবং পৃথিবীকে সৃষ্টি করতেন তিনি। এটি সকল মুক্তি ও রক্ষায় মাধ্যম হয়ে থাকে। সূরা ফালাক ও সূরা নাস হলো শক্তির রক্ষা এবং অসুরক্ষা থেকে মুক্তি নিতের জন্য আল্লাহর আবেগ ও কারুণ্য উক্ত করা হয়েছে।

বাংলা উচ্চারণঃ ইন্না রাব্বাকুমুল্লা-হুল্ লাযী খালাক্বাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আরযা ফী সিত্তাতি আইয়্যা-মিন্ সুম্মাস্ তাওয়া- ‘আলাল্ ‘আরশ, ইয়ুগশিল্ লাইলান্‌ নাহা-রা ইয়াত্বলুবুহূ হাসীসাঁও ওয়াশ্ শাম্‌সা ওয়াল্ ক্কামারা ওয়ান্ নূজুমা মুসাখারা-তিম্ বিআরিহ্, আলা- লাহুল খান্ক ওয়াল্ আম্র, তাবা- রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আলামীন। উদ্’ঊ রাব্বাকুম তাযারু’আঁও ওয়া থুইয়াতান্ ইন্নাহূ লা-ইয়ুহিব্বুল্‌ মু’তাদীন্ ।

বাংলা অর্থঃ নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ্, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তারপর বিশ্ব-সিংহাসনের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি রাত্রি দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন এবং তারপর দিন রাতের পিছনে ছুটে চলে আসে। তিনি সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন। 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায়

গর্ভ অবস্থায় ব্যায়াম মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশী ও উরু শক্তিশালী হয়, যা প্রসবের সময় বেদনার চাপ কমিয়ে তোলে। এটি স্ট্রেস কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কেগেল ব্যায়াম পেলভিক মাসল শক্তিশালী ও দঢ় করে, যা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এই ব্যায়ামগুলি করতে পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনধিক ব্যায়াম করতে হলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল এর কি কাজ বিস্তারিত জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের একটি উপায় হলো প্রেগন্যান্সি ইসিউজস ক্লাস, যেখানে গর্ভাবস্থার জন্য সমৃদ্ধ ব্যায়াম প্রস্তুতি করা হয়। এই ক্লাসগুলি গর্ভকালীন অবস্থায় উপকারী ব্যায়াম সরানোর দিকে মোকাবিলা করে, যা বিশেষভাবে গর্ভকালীন পেরিয়োডে মা ও শিশুর সুস্থ অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ব্যায়াম ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য পর্যন্ত গর্ভাবস্থায় শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে, তবে প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ কথাঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই ওয়েব সাইট এ আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য নিয়ে বাংলা আর্টিকেল লিখে আসছি। আমার এই পোষ্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষণ আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

in-article

Post Page Ad After Post Ends