ট্রাইসাইক্লাজল এর কাজ কি
তবে অবশ্যই আপনি যদি সঠিক সময় সঠিক পরামর্শ বা সঠিক চিকিৎসার আওতায় আসেন তাহলে এই ক্ষতির হাত থেকে আপনি রক্ষা পাবেন । সাধারণত ব্লাস্ট রোগ হয়ে থাকে ছত্রাকের কারণে। এ ছত্রাকে যদি দমন করা যায় তাহলে অবশ্যই আপনি ধানের ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত পেতে পারবেন।
ট্রাইসাইক্লাজল এর কাজ কি
সাধারণত এ ট্রাইসাইক্লাজল ঔষধ ধানে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক লাগতে বাধাগ্রস্ত করে। ধানের বিভিন্ন জায়গাতে যেমন পাতা কাণ্ড অথবা শীর্ষে যদি কোন ধরনের ছত্রাক আক্রমণে সম্ভাবনা দেখা যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত যারা নিয়মিত ধান চাষ করেন তারা ধানের গাছ দেখলে বুঝতে পারেন সেখানে ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে কিনা।
আর যারা নিয়মিত ধান চাষ করেন না তারা ঠিকভাবে বুঝতে পারবেন না । এখানে লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রথমে পাতায় ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে এবং দূর প্রান্তে লম্বা হয়ে চোখ আকৃতির ধারণ করে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে অবশ্যই ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে।আজকে আমরা এই আলোচনা থেকে জানতে পারলাম ট্রাইসাইক্লাজল এর কাজ কি
ধানের ব্লাস্ট রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ক্ষেতে অনেক সময় পাতা ও খোলের সংযোগস্থলে কালো দাগ দেখা দেয় যাবে পরবর্তীতে পাতা পচে ভেঙে পড়ে যাবে।এতে ফলন বিনষ্ট হবে। গীট ব্লাস্টধানের থোড় বা গর্ভবতী অবস্থায় এরোগ হলে গীটে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।ধানের পাতায় ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির সাদা বা বাদামি দাগ দেখা দেয়।তাহলে বুঝবেন ব্লাস্ট রোগের আক্রান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।আক্রমণ বেশি হলে ক্ষেতের অনেক স্থানে মনে হবে রোদে পুড়ে যাওয়ার গেছে।
আরো পড়ুনঃ বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি
ধান গাছ গিট থেকে খসে পরেধানের শীষ অবস্থায় এ রোগ হলে শীষের গোড়া কালো হয়ে যায়।আক্রমণ যদি খুব বেশি হয় তাহলে শীষের গোড়া ভেঙ্গে যায়।ধান চীটা হয়। প্রতিরোধ_ব্যবস্থাপনা প্রথমত এ রোগ থেকে বাচতে হলে প্রতিরোধী জাত চাষ করা। আক্রান্ত ক্ষেতের খড়কুটো সব আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া উচিত।
সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগের মাধ্যমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।এ রোগের আক্রমণ হলে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।প্রতি বিঘাতে ৫-৭ কেজি এমওপি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে অথবা ৫ লিটার স্প্রে করা যেতে পারে। ক্ষেতে পানি সংরক্ষণ করতে হবে। আজকে আমরা এই আলোচনা থেকে জানতে পারলাম ধানের ব্লাস্ট রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের কীটনাশক
এটি একটি সিস্টেমিক ছত্রাকনাশক। ট্রাই সাইক্লাজল গ্রুপের কীটনাশক গাছের পাতা দ্বারা খুব দ্রুত শোষিত হয়। এটি হলো প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন, এর মানে গাছে ছত্রাকের আক্রমন হওয়ার আগেই যদি এই কীটনাশক ছত্রাকনাশক ছিটানো হয় তাহলে গাছে ছত্রাকের আক্রমনের ঝুকি কমে যায়।
ধানের ভিটামিন ঔষধ
ধানের অনেক অনেকগুলো ভিটামিন উপাদান রয়েছে। তারমধ্যে নিজে কয়েকটি আলোচনা করা হলো। ধানে যত সার দেয়া যাবে তত ধানের কুশি ভালো হবে। ফলের চাষের লাভ হবে। ইউরেনিয়াম পটাশ সালফার ইত্যাদি সহ গবর সার অর্থাৎ জৈব সার দেওয়া উচিত। মাসে ১৫ দিন পর পর সার দেয়া উচিত ।খেয়াল রাখতে হবে যেন জমি থেকে পানির মাধ্যমে সারগুলো বেরিয়ে না যায়।
আরো পড়ুনঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ
এ সকল ভিটামিন দিলে ধান উন্নত হবে। চেষ্টা করতে হবে মাসে দুই থেকে তিনবার সার প্রয়োগ করার।বেশি সার দিলে ভিটামিন বেশি হয়ে গেলে ধানের ক্ষতি হতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবথেকে গবর সার বেশি উপকারি।এই আলোচনা থেকে জানতে পারলাম ধানের ভিটামিন ঔষধ সম্পর্কে
নেটিভ এর কাজ কি
নেটিভ ধান গাছের অনেক উপকার করে। ধান গাছের সবুজ পাতা গঠনে এর ভূমিকা অনেক। এটা ধানের সবুজ পাতা কে দীর্ঘ এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ধানের সবুজ পাতায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করতে পারে। এবং স্বাভাবিকের তুলনায় ধান গাছ বৃদ্ধি বেশি পাই। এই আলোচনা থেকে জানতে পারলাম নেটিভ এর কাজ কি?
ধানের টুংরো রোগ কেন হয়
বর্তমানে টুংরো রোগ এশিয়ার কৃষকদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়েছে, তবে বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণ করার উপায় রয়েছে। প্রধান একটি উপায় হল কীটনাশক ব্যবহার করে গাছপালাকে মেরে ফেলা যার ফলে রোগ ছড়াবে না । বর্তমানে আরেকটি কার্যকারী উপায় হল প্রতিরোধী জাতের ধান রোপণ করা। এখন বিভিন্ন রোগের বিস্তার রোধ করার জন্য কৃষকরাও ব্যবস্থা নিতে পারে, যেমন সংক্রামিত গাছপালা ধ্বংস করা এবং শুধুমাত্র পরিষ্কার বীজ ব্যবহার করা এতে ফসল ভাল হবে।
সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে টুংরো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং কৃষকরা উন্নতমানের ধান উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। 1. ধানের টুংরো রোগ হল একটি ভাইরাসজনিত রোগ যেটি দেখতে হলুদ কালার এর। এই রোগের কারণে ধান গাছ ছোট, বিকৃত দানা উৎপন্ন হয় যা ফসলের ক্ষতি করে।এই ভাইরাসটি ধান গাছের ক্লোরোফিল তৈরির ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, যার কারণে গাছটি হলুদ হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ দাউদের এন্টিবায়োটিক ও পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা
ধান গাছের রোগটির নাম ফিলিপিনো শব্দ "টুংরো" থেকে এসেছে, যার অর্থ "স্টান্ট করা । এই রোগটি বাংলাদেশ সহ এশিয়া মহাদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনের দেশগুলিতে। অনুমান করা হয় যে এই রোগের কারণে এই দেশগুলির কৃষকদের প্রতি বছর ফসল হারায়।
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url