স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমলরাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। অনেক সময় দেখা
যায় যে একটা সুস্থ মানুষ এর চোখে ঘুম আসতেই চাই না। কিন্ত কেন আসে না আবার
ঘুমানোর উপায় কি সেই সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্ট এ।
আজকের পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা জানতে পারবেন রাতে ঘুম না আসার
কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
এই পোস্ট টি তে আজ আমরা আলোচনা করব কেন ঘুম আসে না। একটা মানুষের সাধানত কত ঘন্টা
ঘুমানো উচিত এবং ঘুমের ট্যাবলেট এর নাম কি। এবং ঘুম না আসার ফলে আমাদের শরিলে কি
কি ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া
যাক রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
রাতে ঘুম না আসার কারণ কি
রাতে ঘুম না আসার কারণ কি সেই সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক রকম কথা বলা যায়। একটা
মানুষের বিভিন্ন কারনে ঘুম আসে না শারিরিক দুর্বলতা টেনশন এবং বিভিন্ন রোগ
ব্যাধির জন্য একটা মানুষের ঘুম হয় না। ঘুম না হওয়ার জন্য মুলত ৩ টা রোগ দায়ী তা
হলো--
- ইনসমনিয়া
- রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
- নার্কোলেপসি
ইনসমনিয়া -- এই রোগ টা হওয়ার মুল কারন হচ্ছে টেনশন। অনেক সময় দেখা যায়
বিছানা তে অনেক খন ধরে শুয়ে থাকলেও ঘুম হয় না বা যদিও ঘুম একটু হয় তবে হঠ্যাত
করে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর ঘুম আসে না। ঘুমানোর যত চেষ্টা করা হোক না
কেনো সব ব্যর্থ হয়ে যায়। ইনসমানিয়া রোগ টি আমাদের গভির ঘুমের বাধা সৃষ্টি করে
থাকে। এর ফলে আমাদের অনেক রকম স্যামসার সম্মুখি হতে হয়। আমাদের পযাপ্ত পরিমান
ঘুম না হলে মৃত্যু ঝুকি বেড়ে যায়। তাই এই স্যামসা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে
টেনশন থেকে দূরে থাকতে হবে এবং যত কম টেনশন করবেন তত ভালো হবে আপনার জন্য।
রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম -- অনেক সময় ঘুমের মর্ধে আপনি অনুভাব করেন যে
কি জেনো আপনার পা বেড়ে আপনার শরিলে উঠে আসছে যার ফলে আপনি ঘুমাতে পারেন না। এবং
সব সময় একটা ঘোর এর মর্ধে থাকেন এবং অস্বস্তি আপনাকে ঘিরে রাখে এই স্যামসা টা
ইদানিং অনেকের মর্ধে দেখা দিচ্ছে। এই স্যামসা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে যত দ্রুত
সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো চললে উক্ত স্যামসা থেকে
খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন।
নার্কোলেপসি -- এই স্যামসা টা এমন একটি স্যামসা যা একজন মানুষ কে সব
সময় ক্লান্ত করে রাখে। এই রোগ এর ফলে মানুষের শুধু ঘুমের স্যামসা হবে এমন না এই
ঘুম এর ফলে একজন মানুষের ভারসাম্য হারাইতে পারে। এই রোগ এর ফলে একজন মানুষ কাজ
করতে করতে হঠ্যাত ঘুমিয়ে পড়ে এর পড়ে কিছু ক্ষন পড় আবার হঠ্যাত জেগে উঠে এর ফলে
তার শুরু হয় মাথা ব্যাথা সহ বিভিন্ন স্যামসা। এই রোগে অক্রান্ত হলে রোগি সৃতি
শক্তি লোপ পায় এবং রোগি পেশির উপর থেকে কিছুক্ষন এর জন্য নিয়ন্তন হারিয়ে ফেলে।
রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার কি
রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার কি তা হলো -- বর্তমানে যুবক থেকে শুরু করে সব শ্রণীর
মানুষ জন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর উপর আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে মানুষ ইলেকট্রনিক
ডিভাইস এর কারনে ঘুমাতে পারে না তাই নিয়ম মাফিক ঘুমানোর জন্য ইলেকট্রনিক
ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। ঘুমানোর সময় ঘুমের উপযোগি স্থান নির্বাচন করতে হবে
আপনার আরাম লাগে এমন জায়গা নির্বচন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ঘুমের জন্য উপযোগি স্থান হলো হালকা ঠান্ডা স্থান তাই ঘুমানোর
সময় চেষ্টা করবেন নিজের রুম কে ঠান্ডা রাখা যায় এমন পরিবেশ করতে। এ ছাড়া বর্তমানে
মানুষ নিজের প্রতি অযত্ন হয়ে পরেছে। বর্তমানে অধুনিক হওয়াতে মানুষ আর শ্রম দিয়ে
কোনো কাজ করে না যার ফলে শরিলে পেশির উপকার কোনো চাপ পড়ে না এবং শরিল ক্লান্ত হয়
না এর ফলে অনেক ক্ষন শুয়ে থাকার পড় ও তেমন ঘুম হয় না।
এর জন্য একজন মানুষ কে প্রতিদিন হালকা পরিমান ব্যায়াম করা উচিত হাটা চলা করা
উচিত। একটা গবেষনার মার্ধম এ জানা গেছে যে ব্যাক্তি দিনে ৪০ মিনিট হাটা চলা করে
এবং যে ব্যাক্তি সারাদিন শুয়ে কাটাই সেই ব্যাক্তির চেয়ে যে ব্যাক্তি দিনে ৪০
মিনিট হাটা চলা করে সে বেশি দিন বাচেঁ আর্থ্যাত ব্যায়াম করলে শুধু ঘুম আসবে না
আপনার মৃত্যু ঝুকি থেকে রক্ষা পাবেন ।
এবং আপনার যদি ঘুম একদম না থাকে তাহলে আপনার উচিত যত দ্রুত সম্ভব ভালো কোনো
ডাক্তার দেখানো। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ খাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো
চলা। এই সব কাজ গুলো করলে আশা করি আপনার নিয়ম মতো ঘুম হবে ।
একটা মানুষের দিন এ কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
একটা মানুষের দিন এ কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা হলো বয়স ভেদে আমাদের ঘুম এর মাত্রা
ভিন্ন হয়ে থাকে আপনি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন যে একটা শিশু বাচ্চা প্রায় সারাদিন
ঘুমাতে থাকে কিন্ত একজন বয়স্ক মানুষ এর ঘুম অনেক কম থাকে। একটা শিশুর স্বাভাবিক
ঘুম দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা হয়ে থাকে এবং একজন সাধারন মানুষ বা প্রাপ্ত বয়স্ক
মানুষ এর ঘুম দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা হয়ে থাকে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন একটা
মানুষের দিন এ কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় জানুন
আমাদের শরীরের ঘুম একটি প্রধান বিষয়। যেমন ফোনে চার্জ না থাকলে ফোন অচল হয়ে
যায় তেমনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমাদের শরীর ক্লান্ত ও অকার্যকরিতা
পূর্ণ হয়ে থাকে। কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় জানুন। আমরা প্রতিদিনের
প্রয়োজনীয় কাজ গুলি করার মাধ্যমে ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম
থাকে।
কিন্তু আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে ঘুম কম হতে পারে। এবং ঘুম আসতে
দেরি হতে পারে কারণ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা
করে এই হরমোন ঘুমের সঙ্গে অধিক সম্পর্ক যুক্ত যার ফলে এটি কম থাকলে ঘুম কম হয়।
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের একটি প্রধান কার্যকরী উপাদান।
এটি থাকলে আমাদের শরীরে অবসাদ পেশিতে টান পড়া ও হাড়ের বিভিন্ন ধরনের ব্যঁথা
তৈরি হতে পারে এজন্য ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি৬ এর অভাব থাকলে আমাদের শরীরে ঘুম
সঠিক নিয়মে হবে না এর জন্য এই ভিটামিনের অভাব থাকলে খুব দ্রুত তা পূরণ করার
চেষ্টা করতে হবে।
কি খেলে ঘুম ভালো হয়
কি খেলে ঘুম ভালো হয় সেই বিষয় টা আমাদের অনেকের জানা নেই। আজ আমি আপনাদের সাথে
আলোচনা করব কি খেলে ঘুম ভালো হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ। ঘুমের
জন্য প্রয়োজন পেট ভরে খাওয়া। ভালো ঘুমের জন্য দরকার হয় শরিল কে সুস্থ রাখা এবং
আমাদের শরিল ও মোন ভালো রাখতে পারলে ঘুম ভালো হয়।
রাতে ভাত খেলে ঘুম ভালো হয় এবং মাছ মাংশ ভারি খাওয়ার আমাদের রাতে ঘুম ভাল করে
তোলে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি খেলে ঘুম ভালো হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য সমুহ। এ ছাড়া ভালো ঘুম এর জন্য আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
যদি ঘুম খারাপ হয় সেই বিষয় ডাক্তারের সাথে আলোচনা করতে পারেন।
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
প্রিয় পাঠক আজকের টপিক হচ্ছে ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় জানবো। আপনার মনে হতে পারে এটাও কি সম্ভব ১ মিনিটে ঘুমে যাওয়া যায়। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন হ্যাঁ ১ মিনিটেও ঘুমানো সম্ভব। তাই চলুন আমরা মূল আলোচনা বিস্তারিত জেনে নিই। আজ কাল বড় একটি জেনারেশনের খুব কমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাতে সঠিক ঘুমাতে পারে না।
আপনি যদি মাদকদ্রব্য সেবন করেন, রাতে চা বা কফি সেবনের অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এগুলো অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। এবার চলুন আমরা ১ মিনিটে ঘুমানোর গোপন উপায় সমূহ জানবো নিম্ন ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় তা পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলোঃ--
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটাচলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রতিদিন বিকেলে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ জন্য আউট ডোরে খেলাধুলা করুন।
- প্রতিদিনের খাবার মেনুতে সুষম খাবার যুক্ত করুন।
- মেডিটেশন, যোগ ব্যায়াম, ইয়োগা এবং প্রণায়াম ব্যায়াম করুন।
- সারাদিন ১-২ ঘন্টা যেকোনো ব্যায়াম করুন তাহলে আপনি সহজেই ঘুমাতে পারবেন।
- প্রথমে শুয়ে যাওয়ার পূর্ব বসে একটি ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করার নিয়ম বা প্রক্রিয়া হচ্ছে পদ্মাসনে বসে হাত গুলো হাটু স্পর্শ করে গভীর বা ভিতর থেকে শ্বাস নিন। এর পরে সেই শ্বাস কিছু সময় ভিতে ধরে রাখুন তারপরে শ্বাস ত্যাগ করুন এভাবে ৪-৫ মিনিট করুন।
- এরপর হাত পা বা সারা শরীর সিথিল করে আস্তে করে শুয়ে পড়ুন।
- চোখ বন্ধ করে আপনি একটি নির্দিষ্ট কিছু ভাবতে পারেন যেমন বৃষ্টি শব্দ, সুন্দর কিছু মহূর্ত কল্পনা করতে পারেন বা একহাজার গনণা করতে পারেন।
- মোটকথা একটি নির্দিষ্ট ভাবনায় নিজেকে ডাইভার্ট করতে হবে বা মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নাম, সংখ্যা ভাবনায় রাখতে হবে দেখবেন কয়েট মিনিটে আপনি ঘুমে গেছেন।
- ঘুমানোর সময় নিজেকে সকল চিন্তা টেনশান মুক্ত রাখতে হবে এর জন্য আপনি রাতে ঘুমানোর পূর্বে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
প্রতিদিনের ত্রুটিযুক্ত রুটিন অবলম্বন করায় সঠিক পরিমানে ঘুমের অভাব দেখা দিচ্ছে। আমরা সকলে জানি যে আমাদের দেহের নির্দিষ্ট একটি বডি কোলক রয়েছে তাই রাতে ঘুমানোর জন্য আপনার সুবিধা মতো একটি সময়কে বেচে নিন এবং প্রতিদিন ঠিক ওই সময়েই ঘুমাতে যান।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম কি জানুন
সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে সুস্থ থাকার জন্য। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের এই ঘুমের পরিমাণ যদি ৬ ঘন্টার কম হয় তাহলে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। ঘুম আমাদের শরীরে অনেক কার্যকারী উপাদান বৃদ্ধি করে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং টক্সিন হরমোন নামক উপাদান
শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এজন্য সদ্য জন্ম লাভ কৃত বা ১ মাস থেকে ১ বছরে বাচ্চাদের দিনে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ২ থেকে ১০ বছরের বাচ্চাদের দিনে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এবং একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য সারাদি্ররনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
এই ঘুমের উপর নির্ভর করে যে আমরা পরের দিনের কাজ কেমন হবে করতে পারবো এবং আমাদের শরীর কতটুকু সুস্থ থাকবে। এজন্য রাতে ঘুমানো অনেক কার্যকর একটি বিষয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে ঘুম আসেনা খাবার খেয়ে বিছানায় ঘুমানোর পরও খুব সহজে ঘুম ধরতে চায় না । আর এই রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম "ইনসোমনিয়া" বা অনিদ্রা রোগ।
যার দরুন আমাদের শরীরে দিনের বেলা সারাদিন ঝিম ঝিম ভাব করে কাজে অমনোযোগী ও ঘুম ঘুম ক্লান্তি ভাব মেজাজ অনেক খারাপ হয়ে যাওয়া সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শেষ কথাঃ রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সেই সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা
করলাম। আজকের এই পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম ঘুম না আসলে কি করণীয়
ভালো ঘুম হওয়ার উপায় কি এবং কি খেলে ভালো ঘুম হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
সমুহ। আজকের এই পোস্ট টি পড়ে যদি আপনাদের উপকার হয়ে থাকে তাহলে অব্যশয় এই পোস্ট
টি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ ।
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url