আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জানুন [ আপডেট ]
সরকারিভাবে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২৪আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো জানতে চেয়েছেন আমেরিকার কোন কাজের চাহিদা বেশি। এমনকি আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত, আপনারা হয়তো অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু মনে রাখবেন আমেরিকা যাওয়ার পূর্বে আপনাকে আমেরিকা দেশ সম্পর্কে এবং সে দেশের নিয়ম কারণ ও কাজগুলো সম্পর্কে বিশেষ ধারণা রাখতে হবে। যেমন, আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কেমন এমনকি আরো অন্যান্য কিছু তথ্য --
তবে চলুন আপনার সময় অযথা নষ্ট না করে আপনাকে জানিয়ে দিই। আপনি যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে জানতে পারবেন আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কেমন ও আমেরিকার ভিসার খরচ কত সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টটিতে,
আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি
আমেরিকায় বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে তবে কিছু কাজ বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন। উদাহরণস্বরূপ প্রযুক্তি খাতের কাজের চাহিদা অনেক বেশি বিশেষ করে এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচারে এছাড়াও দূরবর্তী কাজের চাহিদা বাড়ছে। যেমন -- সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ অথবা অফিসে না এসে বাড়ি থেকে কাজ করা
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
এই ধরনের কাজের চাহিদা বাড়ার কারণে অনেকে এমন কোম্পানি খুঁজছেন যেখানে কাজের ক্ষেত্রে নমনীয়তা রয়েছে। আপনি যদি আরও বিশেষ তথ্য জানতে চান তাহলে আমি আপনাকে আরও সাহায্য করতে পারি। আপনার কোন নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে আগ্রহ রয়েছে? আমি সেই অনুযায়ী তথ্য প্রদান করতে পারি।
আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪
বর্তমানে ২০২৩ সালে আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন ৭.২৫ ডলার প্রতি ঘন্টা। যা বাংলাদেশে ৭৯৫ টাকা। অর্থাৎ, একজন কর্মী আমেরিকাতে প্রতি ঘন্টায় সর্বনিন্ম ৭.২৫ ডলার (বাংলাদেশী ৭৯৫ টাকা) আয় করতে পারবেন। আমেরিকাতে প্রত্যেক কর্মীর বেতন ঘন্টা চুক্তি প্রদান করা হয়। আপনি যত ঘন্টা কাজ করবেন ততো ঘন্টার বেতন পাবেন। এক মাসে আপনি যত ঘন্টা কাজ করবেন মাসে সেটা হিসাব করে বেতন প্রদান করবে।
তবে আমেরিকার অনেক গুলো প্রদেশ থাকার কারণে বিভিন্ন প্রদেশের রাজ্য সরকার কর্মীদের সর্বনিন্ম একটি বেতন নির্ধারণ করেছে। আপনি যে প্রদেশে কাজ করেন না কেন আপনার বেতন ধরা হবে সর্বনিন্ম ৭.২৫ ডলার প্রতি ঘন্টা। আবার আপনি যদি আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে কাজ করেন তাহলে সেখানে কর্মীদের সর্বনিন্ম বেতন ১৯ ডলার প্রতি ঘন্টা। অর্থাৎ বাংলাদেশ টাকায় ২ হাজার টাকার বেশি।
আমেরিকা সর্বোচ্চ বেতন কত
আমেরিকায় বিভিন্ন পেশায় সর্বোচ্চ বেতনের পরিমাণ ভিন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ একজন ইঞ্জিনিয়ারের সর্বোচ্চ মাসিক বেতন প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ডলার হতে পারে। ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন সাধারণত অনেক বেশি হয়। অন্যান্য পেশায় যেমন নার্স সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কম্পিউটার সিস্টেম ম্যানেজার, শিক্ষক চিপ এক্সিকিউটিভ নিউরোলজিস্ট ডেন্টিস কোচ ইয়োগাটেইনার ইত্যাদির বেতন ও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও অভিজ্ঞতা দক্ষতা এবং কাজের জায়গার উপর ভিত্তি করে বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই বেতনের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই সব বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আরও বিশেষ তথ্য জানতে চান বা নির্দিষ্ট কোনো পেশার বেতন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি আপনাকে আরও সাহায্য করতে পারি।
আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ কত
আমেরিকা কাজের ভিসা পেতে বিভিন্ন খরচ জড়িত থাকে যেমন আবেদন ফি আইনজীবীর ফি, এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খরচ। সাধারণত, একটি H-1B ভিসা পেতে আবেদন ফি হিসেবে প্রায় ১৭ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে প্রায় ২৫ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। এই খরচের মধ্যে সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে যেমন আইনজীবীর ফি দূতাবাসের ফি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খরচ।
আমেরিকায় সেনাবাহিনীর বেতন কত
আমেরিকার সেনাবাহিনী সদস্যদের বেতন তাদের পদবী অভিজ্ঞতা সেরা শাখা এবং অন্যান্য ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে। সাধারণত আমেরিকান সেনাবাহিনীর সর্বাধিক সাধারণ সদস্যের মধ্যে সেনা নেভি এবং এয়ার ফোর্সের সদস্যদের বেতন সাধারণত বিভিন্ন লেভেলে বিভিন্ন হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ একজন সাধারণ সেনা বা এয়ার ফোর্স সদসের বেতন তার অধিকাংশ সামান্য হতে পারে যেমন খুশি তো হতে পারে।
সেনা নাগরিকের বাণেবী ক্যাপ্টেন এর বেতনের সাথে এই বেতন তথ্য সেনা ও নেভির ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। বিভিন্ন পদবীর জন্য বেতনের গড়হার এবং বিস্তারিত তথ্য সহজে অনুসন্ধান করা যায়। আমেরিকার সেনাবাহিনীর বেতন কত, আমেরিকার সেনাবাহিনী সদস্যদের বেতনের পরিমাণ বিভিন্ন কারণে পরিবর্তনশীল। সেনাবাহিনী সদস্যদের বেতনের নির্ধারণের কর্মকাণ্ড গুলির নির্ণয় বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে। যেমন -- পদ মূল্য অবস্থান কর্মসূচি অভিজ্ঞতা সাধারণত সরকারি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেতন বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৪
তবে বেতনের বিস্তারিত বিবরণ বেশি সংরক্ষিত প্রতিটি শাখার সদস্যদের বেতনের পরিমাণ প্রতি বছর পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। যেমন -- সেনা বাহিনী এয়ার ফোর্স নেভি মেরিন করপোস সেনাবাহিনীর বেতনের বিষয়টি গোপন থাকতে পারে। কারণ এটি জাতিসংঘের সুরক্ষা বা কাজের গোপনীয়তার কারণে স্থানান্তরিক তথ্যের জন্য আপনাকে সরকারি ওয়েবসাইট বা প্রকাশনায় দেখা উচিত।
আমেরিকা ভিসা করতে কি কি লাগে
আমেরিকা ভিসা প্রাপ্তির জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন ---
ভিসা ধরন নির্ধারণ -- প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন ধরনের ভিসা আপনার প্রয়োজন। নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য এবং ইমিগ্র্যান্ট ভিসা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য।
অনলাইন আবেদন ফর্ম (DS-160) পূরণ -- নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য অনলাইনে DS-160 ফর্ম পূরণ করতে হবে।
সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নির্ধারণ -- অনলাইনে বা কল সেন্টারের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় ঠিক করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ -- পাসপোর্ট আর্থিক দলিল চাকরির প্রমাণ শিক্ষাগত সনদ ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।
ভিসা ফি প্রদান -- নির্ধারিত ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
সাক্ষাৎকার অংশগ্রহণ -- নির্ধারিত তারিখে দূতাবাসে সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হবে।
এই প্রক্রিয়াগুলো সাধারণত সময়সাপেক্ষ এবং জটিল হতে পারে, তাই আপনার ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করার আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট দেখুন। আপনি যদি আরও সাহায্য বা নির্দিষ্ট কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমি আপনাকে আরও সাহায্য করতে পারি।
আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে
আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল বিভিন্ন ধরনের ভিসার উপর নির্ভর করে। সাধারণত নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রসেসিং হতে প্রায় ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে কোনো তথ্য বা কাগজপত্রের ঘাটতি বা জটিলতা থাকলে ভিসা প্রসেসিং এর সময় আরো বেশি লাগতে পারে যা প্রায় ৯০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট বা কল সেন্টারের মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য পেতে পারেন। আপনি যদি আরও বিশেষ তথ্য বা সাহায্য চান তাহলে আমি আপনাকে আরও সাহায্য করতে পারি।
শেষ কথাঃ আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে আপনারা হয়তো, নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন এবং ভিসার খরচ কত। তবে আপনাদের যদি এ পোস্টটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং এ পোস্টের সম্পর্কে যদি কোন ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এমনকি এই ওয়েবসাইটে আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে ভিজিট করুন যা নিয়মিত আমি এই ওয়েবসাইটে পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url