ড্রাইভিং লাইসেন্স রেনু করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন ২০২৫

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়ের সময়সীমা

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার যোগ্যতা

• বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধ থাকতে হবে।
• লাইসেন্সের মালিকের ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকতে হবে, যা চালকের শারীরিক সক্ষমতা নিশ্চিত করে।
• লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত না হওয়া উচিত।

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে যেসব নথিপত্র প্রয়োজন

• বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপি।
• জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ।
• পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ কপি)।
• মেডিকেল সার্টিফিকেট (চোখের পরীক্ষা সহ)।
• ট্রাফিক ফাইন (যদি কোনো বকেয়া থাকে) পরিশোধের প্রমাণ।
• নির্ধারিত ফি জমার রশিদ।

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার ধাপসমূহ

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়ের ফি

• প্রাইভেট গাড়ি চালকের লাইসেন্স -- নির্ধারিত টাকায় রিনিউ করা যায়।
• বাণিজ্যিক গাড়ি চালকের লাইসেন্স -- তুলনামূলকভাবে ফি বেশি।
• দেরিতে রিনিউ করলে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

BRTA অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার সুবিধা

• সময় বাঁচে এবং লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় না।
• আবেদন এবং পেমেন্ট সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে করা যায়।
• স্ট্যাটাস ট্র্যাক করার সুবিধা পাওয়া যায়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন

• নিয়মিত মেয়াদ চেক করুন -- লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রিনিউ করার পরিকল্পনা করুন।
• নথিপত্র ঠিকঠাক রাখুন -- সব নথি সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়।
• BRTA-এর নির্দেশনা অনুসরণ করুন -- BRTA কর্তৃপক্ষের সব নিয়ম এবং গাইডলাইন মেনে চলুন।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

• বিআরটিএর ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন --
• ওয়েবসাইটে যান -- bsp.brta.gov.bd
• "ড্রাইভিং লাইসেন্স" অপশন নির্বাচন করুন।
• "স্ট্যাটাস চেক" বাটনে ক্লিক করুন।
• রেফারেন্স নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রদান করে স্ট্যাটাস দেখুন।

• "BRTA DL Checker" অ্যাপ ডাউনলোড করুন -- Google Play Store
• অ্যাপটি ইনস্টল ও চালু করুন।
• রেফারেন্স নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রদান করে স্ট্যাটাস দেখুন।

• মেসেজ অপশনে যান।
• টাইপ করুন -- DL <স্পেস> রেফারেন্স নম্বর
• পাঠান -- 26969 নম্বরে

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সময় কি কি তথ্য পাওয়া যাবে?

• ড্রাইভারের নাম -- লাইসেন্সধারীর পুরো নাম।
• লাইসেন্সের ধরন -- পেশাদার বা অপেশাদার।
• লাইসেন্সের জারি তারিখ।
• লাইসেন্সের মেয়াদ।
• এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য।

বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার?

1. লিয়ার্নার লাইসেন্স (Learner's License) -- এটি একটি অস্থায়ী লাইসেন্স, যার ব্যবহার ড্রাইভিং শেখার জন্য করা হয়। সাধারণত এটি পরীক্ষা প্রস্তুতির সময় ব্যবহৃত হয়।
2. প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স (Professional Driving License) -- এই লাইসেন্স পেশাদার চালকদের জন্য, যারা বাণিজ্যিক যানবাহন চালান, যেমন বাস, ট্রাক, লরি ইত্যাদি।
3. নন-প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স (Non-Professional Driving License) -- এই লাইসেন্স সাধারণ নাগরিকদের জন্য, যারা ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল বা অন্যান্য অ-বাণিজ্যিক যানবাহন চালান।
4. এইচটিভি লাইসেন্স (Heavy Transport Vehicle License) -- ভারী যানবাহন চালানোর জন্য একটি বিশেষ লাইসেন্স, যেমন ট্রাক বা লরি।
5. এলটিভি লাইসেন্স (Light Transport Vehicle License) -- হালকা যানবাহন, যেমন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস চালানোর জন্য এই লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য বয়সের নির্ধারিত সীমা রয়েছে।

• শিক্ষাগত যোগ্যতা -- আপনার ন্যূনতম ৮ম শ্রেণী পাশ করা আবশ্যক।
• মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা -- আপনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
• লার্নার লাইসেন্স -- ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে আপনাকে লার্নার লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় ধরে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

শেষ কথাঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স রেনু করার নিয়ম