ই ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - ই ট্রেড লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন ২০২৫
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪ বৈধভাবে যেকোনো ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় ট্রেড লাইসেন্স। তবে এই ই ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম । কীভাবে করতে হয় ই-ট্রেড লাইসেন্স? এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রায়ই আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
ই-ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সাহারা ব্লক এই প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে। সাহারা ব্লক এর পাঠকরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদের জানিয়ে দিব এর জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
ই ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
ই ট্রেড লাইসেন্স আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ওয়েবভিত্তিক শক্তিশালী ও সুরক্ষিত সফটওয়ারের মাধ্যমে নতুন ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন এবং ট্রেড লাইসেন্সের সকল তথ্য ডাটাবেজের সংরক্ষণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ট্রেড লাইসেন্স করা আরো অনেক সহজ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব। ই ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম অনলাইনে করা যাবে এবং ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা নগদে ব্যাংকে গিয়ে লাইসেন্স ফি পরিশোধ করা যাবে। ই-ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এখানে একটি সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকা দেওয়া হলো --
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন – প্রথমে etradelicense.gov.bd ওয়েবসাইটে যান।
- নিবন্ধন করুন -- নতুন নিবন্ধনের জন্য ক্লিক করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যবসার তথ্য দিয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন -- জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে আপলোড করুন।
- ফি পরিশোধ করুন -- ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকে নগদে ফি পরিশোধ করুন। সাধারণত লাইসেন্স ফি ২০০ থেকে ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা ব্যবসার আকার ও ধরন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়
- নিশ্চিতকরণ বার্তা -- ফি পরিশোধের পর, আপনার মোবাইল ফোনে ও ই-মেইলে একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন।
এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পর, আপনি আপনার ই-ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম
প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য তার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের সাপেক্ষে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স করা। ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসায়ীকে দেশের যে কোন স্থানে তার ব্যবসাটি পরিচালনা করার স্বাধীনতা দেয়। ব্যবসায়ের অনুকূলে যে কোন কার্যক্রমের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অবধারিত নথি।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি গেম খেলে টাকা ইনকাম
কেননা এর মাধ্যমেই যে কোন ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে একজন ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্যতা পেয়ে থাকেন। তাই চলুন, জেনে নিই ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম। ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এখানে একটি সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া হলো ---
ধাপ-১ -- সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে ব্যবসায়িক কেন্দ্রের জন্য সঠিক অঞ্চল নির্ধারণ করা।
ধাপ-২ -- আই ফর্ম ও কে ফর্ম নামে ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের দুটি ভিন্ন ধরনের ফরম আছে। ছোট কিংবা সাধারণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য আই ফর্ম এবং বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে কে ফর্ম সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত সেই অঞ্চলের অফিস থেকেই এই ফর্মগুলো সংগ্রহ করা যাবে, যেগুলোর প্রতিটির দাম ১০ টাকা।
- আবেদন ফরম সংগ্রহ -- আপনার স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা অফিস থেকে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন।
- ফরম পূরণ -- আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখানে আপনার ব্যবসার নাম, ঠিকানা, মালিকের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় নথি জমা -- পূরণকৃত ফরমের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যবসার ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: ভাড়া চুক্তিপত্র বা জমির দলিল) জমা দিন।
- ফি পরিশোধ -- নির্ধারিত ফি জমা দিন। ফি সাধারণত ব্যবসার ধরন ও আকার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
- পরিদর্শন -- আপনার ব্যবসার স্থান পরিদর্শনের জন্য সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা থেকে একজন পরিদর্শক আসতে পারেন।
- লাইসেন্স সংগ্রহ -- সবকিছু ঠিক থাকলে এবং ফি পরিশোধের পর, আপনি আপনার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পর, আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
ই ট্রেড লাইসেন্স আবেদন ফরম
ই-ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে, আপনি অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাগুলি তাদের ওয়েবসাইটে ই-ট্রেড লাইসেন্সের ফর্ম সরবরাহ করে। ই-ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ফরমটি আপনি etradelicense.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন সাধারণভাবে আবেদন প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ --
- ধাপ ১ -- ওয়েবসাইটে প্রবেশ -- আপনার এলাকার সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- ধাপ ২ --আবেদন ফরম খুঁজুন -- সাইটে "ই-ট্রেড লাইসেন্স বা ট্রেড লাইসেন্স আবেদন" সংক্রান্ত সেবা বিভাগে যান।
- ধাপ ৩ -- তথ্য পূরণ -- আবেদন ফরমে ব্যবসার নাম, ঠিকানা, মালিকের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যবসার ধরন ইত্যাদি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- ধাপ ৪ -- প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন -- প্রয়োজনীয় নথি (যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবসার ঠিকানার প্রমাণ, ছবি, ইত্যাদি) স্ক্যান করে সংযুক্ত করুন।
- ধাপ ৫ -- ফি পরিশোধ -- লাইসেন্স ফি অনলাইনে প্রদান করুন (যদি সিটি কর্পোরেশন সেই সুবিধা দেয়)।
- ধাপ ৬ -- আবেদন জমা দিন -- সব তথ্য ও নথি সঠিকভাবে পূরণ ও আপলোড করার পর, আবেদন ফরম সাবমিট করুন।
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর, আপনার ই-ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হলে তা অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রাপ্তির সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।
ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রেও ভিন্নতা আসে।
অংশীদারী ব্যবসার ক্ষেত্রে
- অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
- জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি।
- ডিরেক্টরদের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ৩০০ টাকার দলিলে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
- ম্যানেজিং পার্টনারের তিন কপি ছবি
- ম্যানেজিং পার্টনারের জাতীয় পরিচয়পত্র
কোম্পানির ক্ষেত্রে
- অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
- জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি।
- কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইন-কর্পোরেশন
- কোম্পানির মেমরেন্ডাম ও আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন
- ম্যানেজিং ডিরেক্টরের তিন কপি ছবি
- ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জাতীয় পরিচয়পত্র
ই ট্রেড লাইসেন্স চেক
ট্রেড লাইসেন্স শুধুমাত্র একটি নিয়মে চেক করা যায় তা হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে ই ট্রেড লাইসেন্স চেক করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কিত তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে। যেমন আপনার ট্রেড লাইসেন্স নাম্বারটি প্রয়োজন হবে। ট্রেড লাইসেন্স বলতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি অনুমতি পত্র কে বোঝানো হয়।
তবে আপনি যদি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা চেক করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার আপনার নাম ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি সংক্রান্ত আরো কিছু তথ্য প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে ই-ট্রেড লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনি অনলাইন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো --
অনলাইন পোর্টালে প্রবেশ করুন ---
- সরকারি বিআরডি (BRD) বা এনএলআইএস (NLIS) ওয়েবসাইটে যান।
- উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স অপশন খুঁজে নিতে পারেন।
লাইসেন্স নম্বর বা প্রতিষ্ঠান নাম দিয়ে খুঁজুন --
- লাইসেন্স নম্বর বা আপনার ব্যবসা/প্রতিষ্ঠানের নাম প্রবেশ করান।
- এভাবে লাইসেন্সের স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
লাইসেন্স স্ট্যাটাস চেক করুন --
- লাইসেন্সের স্ট্যাটাস দেখতে পেলে বুঝবেন এটি সক্রিয় আছে কিনা।
- লাইসেন্স নবায়নের প্রয়োজন হলে তা ওয়েবসাইট থেকে করতেও পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ -- যদি অনলাইন চেক করতে সমস্যা হয় তবে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে তা জানুন ,বাংলাদেশের কর আইনের ৪৪(১) ধারা মোতাবেক ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে সাধারন ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স ফি হিসেবে নিম্ম ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও ১৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ best new crypto to buy 2024
সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ মোতাবেক সিটি কর্পোরেশন কর নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স করতে খরচ বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন ব্যবসার ধরন, অবস্থান (জেলা বা সিটি কর্পোরেশন), এবং অন্যান্য কিছু বিষয়ে। তবে সাধারণভাবে ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য কিছু গড় খরচ বিবেচনা করা যেতে পারে --
- নগর এলাকা -- বড় শহর বা সিটি কর্পোরেশনে সাধারণত ৫০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
- উপজেলা বা ছোট শহর -- উপজেলা বা পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্সের ফি সাধারণত ৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ব্যবসার ধরন -- ছোট খাট ব্যবসার জন্য খরচ কম হয়, তবে বৃহৎ এবং লিমিটেড কোম্পানির জন্য ফি বেশি হয়।
- অন্যান্য চার্জ -- লাইসেন্স নবায়ন, প্রসেসিং ফি, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি খরচও যোগ হতে পারে, যা নির্ভর করে ব্যবসার ধরন এবং লোকেশন অনুযায়ী।
আপনার এলাকার পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের অফিস থেকে নির্দিষ্ট খরচের তথ্য পাওয়া সবচেয়ে ভাল।
ট্রেড লাইসেন্স ফি কত
বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স ফি নির্ভর করে ব্যবসার ধরণ, আয়তন, এবং প্রতিষ্ঠানের অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদে ট্রেড লাইসেন্স ফি আলাদা হয়। সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্যও কিছু নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য হয়। প্রায়শই ট্রেড লাইসেন্স ফি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ What is the best crypto website to buy?
ব্যবসার ধরন ও এলাকার ভিত্তিতে এই ফি নির্ধারিত হয়। ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে প্রতি বছর অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। আপনার এলাকার সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা উত্তম হবে।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন কি
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হলো ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের বৈধতা পুনরায় নবায়ন প্রক্রিয়া। সাধারণত, ট্রেড লাইসেন্স এক বছরের জন্য বৈধ থাকে এবং প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়। নবায়নের জন্য ব্যবসার মালিককে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ধাপ -- নবায়নের সময়সীমা সম্পর্কে জানা: সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন প্রতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসে করা হয়।
নবায়নের ফি পরিশোধ -- নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়, যা ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
দরকারি ডকুমেন্ট জমা --
- পূর্বের ট্রেড লাইসেন্সের কপি
- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- ব্যবসার ঠিকানার প্রমাণপত্র
আবেদন ফর্ম পূরণ -- পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হয়।
পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরণ -- আবেদন যাচাই শেষে নবায়ন সম্পন্ন হলে নতুন লাইসেন্স বা নবায়নের সীল প্রদান করা হয়।
এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পর, আপনার ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হয়ে যাবে এবং আপনি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন
সাধারনত একটা ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ ১ বছর হয়ে থাকে। যা শুরু হয় ১ লা জুলাই থেকে আবার শেষ হয় ৩০ শে জুন । সুতরাং যারা এখন ট্রেড লাইসেন্স করার ভাবছেন , যদি আপনাদের ট্রেড লাইসেন্স এর ইমাজেন্সি প্রয়োজন না থাকে তাহলে আপনারা এই মাসে না করে ১ জুলাই থেকে করতে পারেন ।
বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার নতুন নিয়ম চালু করেছে ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ঝামেলা থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছরের পরিবর্তে হবে পাঁচ বছর। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
লেখকের শেষ কথাঃ ই ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে এতক্ষণে জেনে গেয়েছেন যে কি ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে কোথায় পাবেন এই সম্পর্কে। ব্যবসাকে বৈধকরণের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অপরিহার্য সনদ। ট্রেড লাইসেন্স দেয়া এবং এর নবায়ন স্থানীয় সরকারের কর আদায়ের একটি মাধ্যম। এটি ছাড়া যে কোন ব্যবসা বৈধ না সুতরাং ব্যবসা পরিচালনায় ট্রেড লাইসেন্স-এর কোন বিকল্প নেই।
সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url